কলকাতা: কালীপুজো এবং দীপাবলি উৎসব ঘিরে একাধিক নির্দেশিকা দিয়েছিল আদালত। পরিবেশবান্ধব বাজি পোড়ানোর অনুমতি দিয়েছিল সুপ্রিম কোর্ট কিন্তু তাও নিয়ম মেনে। বাজি পোড়ানোর জন্য নির্দিষ্ট সময়সীমা বেঁধে দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু আদতে সেই ভাবে নিয়ম মানা হল? পরিস্থিতি বা পরিবেশ দেখে তো সেটা মনে হচ্ছে না। কারণ বাজি এবং দূষণের কলকাতা যেন দিল্লিকে টক্কর দিল। রাজধানীর বাতাসের অবস্থা এমনই খারাপ। এদিকে কলকাতাও তার সঙ্গে জোর লড়াই চালাল।
পরিবেশবান্ধব বাজি পোড়ানোর নির্দেশ দেওয়া থাকলেও কালীপুজোর রাতে দিল্লি এবং কলকাতার মধ্যে যেন দূষণের লড়াই চলল। রাজ্য দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদ বলছে, বৃহস্পতিবার রাতে দিল্লির আনন্দ বিহার এবং বাংলার বিটি রোড যেন এক হয়ে গিয়েছিল। এই দুই জায়গাতেই বাতাসে ভাসমান সুক্ষ ধূলিকণা সর্বাধিক মাত্রা ছিল প্রতি ঘনমিটারে ৫০০ পিপিএম অর্থাৎ সর্বোচ্চ স্তর। কলকাতা ছাড়াও হাওড়াতেও এই সর্বাধিক মাত্র দেখা গিয়েছিল সেদিন। এছাড়াও উত্তরবঙ্গের শিলিগুড়ি থেকে শুরু করে দক্ষিণ কলকাতার যাদবপুর, বালিগঞ্জ, রবীন্দ্র সরোবরেও দূষণের মাত্রা ছিল প্রচন্ড বেশি। এই পরিসংখ্যান বলে দিচ্ছে যে পরিবেশবান্ধব আতশবাজিতে দূর, নিষিদ্ধ বাজি পোড়ানো হয়েছে দেদার ভাবে। যার মধ্যে অবশ্যই রয়েছে শব্দবাজি। তাই আদালতের নির্দেশ যে বহু অংশে মানা হয়নি তা স্পষ্ট।
নিয়ম যাতে মানা হয় সেই প্রেক্ষিতে পুলিশের ওপর ব্যাপক দায়িত্ব ছিল কিন্তু বিভিন্ন জায়গা থেকে অভিযোগ উঠছে যে পুলিশ সেই ভাবে ব্যবস্থা নিতে পারেনি। অনেক জায়গায় আবার পুলিশকে দেখতে পাওয়া যায়নি বলেও অভিযোগ রয়েছে। সেই প্রেক্ষিতে দিদার ভাবে পড়ানো হয়েছে নিষিদ্ধ বাজি এবং ফাটানো হয়েছে শব্দবাজি। পশ্চিমবঙ্গে দমদম থেকে শুরু করে খড়দহ, মধ্যমগ্রাম থেকে শুরু করে সল্টলেক, সমস্ত জায়গায় শব্দ বাজি ফাটানো হয়েছে বলে খবর। যদিও কলকাতা পুলিশের দাবি, উপরিউক্ত কারণে সেদিন রাতে প্রায় ৭০০ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে এবং বিরাট পরিমাণ নিষিদ্ধ বাজি বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে।