কলকাতা: তিনি শারীরিকভাবে চলে গিয়েছেন প্রায় তিন মাস হল। কিন্তু সুব্রত মুখোপাধ্যায় বাংলা তথা জাতীয় রাজনীতি থেকে কোনও দিন যাবেন না। বাংলার রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব হিসেবে তাঁর কৃতিত্ব অপরিসীম। তাঁর মেয়র পদের আমলে শহরে উন্নতি হয়েছিল বলেই মত অধিকাংশের। সেই সুব্রত মুখোপাধ্যায়কে শ্রদ্ধা জানাতে একাধিক পরিকল্পনা নেওয়া হল কলকাতা পুরসভার পক্ষ থেকে। সেই পরিকল্পনার কথাই জানিয়েছেন খোদ মেয়র ফিরহাদ হাকিম।
আরও পড়ুন- বাজেটের আগে শেয়ার বাজারে ধস, নিম্নমুখী সেনসেক্স-নিফটি
জানা গিয়েছে, বালিগঞ্জের একটি রাস্তা হবে সুব্রত মুখোপাধ্যায়ের নামে। এছাড়া তাঁর নামে একটি সংগ্রহশালা তৈরি হবে। এর জন্য জমি খোঁজার ইতিমধ্যেই দিয়েছেন ফিরহাদ হাকিম। এদিন টাউন হলে পুরসভার প্রশাসনিক বৈঠক ছিল। সেই বৈঠকেই এইরূপ পরিকল্পনার কথা জানান মেয়র এবং সেই অনুযায়ী নির্দেশ দিয়েছেন তিনি। তবে কোন রাস্তা বা কোথায় সংগ্রহ শালা হবে তা এখনও ঠিক হয়নি বলেই জানা গিয়েছে। তবে অনুমান করা হচ্ছে, গড়িয়াহাটের একডালিয়া ক্লাবের আশেপাশেই কোথাও এই সংগ্রহ শালা তৈরি করা হবে। কারণ সুব্রত মুখোপাধায়কে স্মরণ করার জন্য এটাই হবে সবথেকে ভাল জায়গা। আদতে এই একডালিয়া এভারগ্রীনের পুজো তো সুব্রত মুখোপাধ্যায়ের পুজো নামেই পরিচিত।
গত বছর কালীপুজোর সময়ই পৃথিবীর মায়া ত্যাগ করে চলে যান সুব্রত মুখোপাধ্যায়। তার আগে কিছুটা অসুস্থ হওয়ার কারণে চিকিৎসকদের পরামর্শ নিয়েছিলেন তিনি। হাসপাতালে পরীক্ষা করাতে আসার পর সুব্রত মুখোপাধ্যায়কে ভর্তি হওয়ার পরামর্শ দেন চিকিৎসকরা। পরবর্তী ক্ষেত্রে শারীরিক অবস্থার কিছুটা অবনতি হলেও সামগ্রিকভাবে তিনি ছিলেন স্থিতিশীল। কিন্তু যেদিন তাঁর বাড়ি ফিরে আসার কথা ঠিক তার আগের দিন রাতে সব শেষ হয়ে যায় আচমকাই। সন্ধ্যেবেলা স্ত্রী এবং আইনজীবীর সঙ্গে কথা বলার পর শৌচালয় যাওয়ার পর থেকেই অবস্থার অবনতি হয়। বুকে ব্যথা অনুভব করেন তিনি এবং বেডে কার্যত শুয়ে পড়েন। ততক্ষণে হয়তো যা হওয়ার হয়ে গিয়েছিল। সুব্রত মুখোপাধ্যায়কে ওই অবস্থায় দেখে তৎক্ষণাৎ ডাক্তারদের ডাকা হয়। সঙ্গে সঙ্গে ছুটে আসেন জুনিয়র ডাক্তার আর নার্সরা। বুকে অন্তত ৩০ থেকে ৪০ মিনিট পাম্প করা হয় কিন্তু ততক্ষণে সব শেষ।