অভিযোগ পাল্টা অভিযোগ, সকাল থেকেই তপ্ত খড়দহ থেকে শান্তিপুর

অভিযোগ পাল্টা অভিযোগ, সকাল থেকেই তপ্ত খড়দহ থেকে শান্তিপুর

কলকাতা: নিশ্চিদ্র নিরাপত্তার মাঝেই বিধি ভাঙার অভিযোগ৷ কোথাও বিজেপির বিরুদ্ধে৷ আবার কোথাও শাসকদলের বিরুদ্ধে৷ যার জেরে সকাল থেকেই তপ্ত খড়দহ বিধানসভার কিছু এলাকা৷

শনিবার ভোট শুরুর কিছুক্ষণ পরেই বিজেপি প্রার্থী জয় সাহার বিরুদ্ধে ভোটারদের প্রভাবিত করার অভিযোগ ওঠে৷ যার জেরে শনিবারের সকালে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে খড়দহ বিধানসভার যুগবেরিয়া এলাকা৷ স্থানীয় তৃণমূল কর্মীদের অভিযোগ, বিজেপি প্রার্থী ভোট কেন্দ্রের ১০০ মিটারের মধ্যে বিজেপির প্রতীক (চিহ্ন) নিয়ে ঘুরছিলেন৷ ভোটারদের প্রভাবিত করার চেষ্টা করছিলেন৷ এমনকি প্রার্থীর মুখে ছিল না মাস্কও৷ এরই প্রতিবাদে নিরাপত্তা রক্ষীদের সামনেই তাঁকে ঘিরে বিক্ষোভ শুরু করেন কর্মীরা৷ ঘটনার জেরে এলাকায় তীব্র উত্তেজনা তৈরি হয়৷ তবে অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছেন জয়৷

অন্যদিকে খড়দহের সূর্যসেন স্কুল সংলগ্ন এলাকায় বিধিভঙ্গে অভিযুক্ত শাসকদল৷ বুথের ১০০ মিটারের মধ্যে শাসকদলের পোস্টার ছিল বলে অভিযোগ৷ অভিযোগ পাওয়ার পরই তা খুলে ফেলে নির্বাচন কমিশন৷ ঘটনার জেরে এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়িয়ে রড়ে৷  খড়দহ ছাড়াও আজ রাজ্যের আরও তিন কেন্দ্র শান্তিপুর, দিনহাটা ও গোসাবায় অনুষ্ঠিত হচ্ছে উপ নির্বাচন৷ নদীয়ার শান্তিপুরের ৪২/এ বাবলা গোবিন্দপুর জুনিয়র বেসিক স্কুলে ইভিএম মেশিন খারাপ হয়ে যাওয়াকে কেন্দ্র করে উত্তেজনা তৈরি হয়। দীর্ঘক্ষন লাইনে দাঁড়িয়ে ছিলেন ভোটাররা। পরে প্রিসাইডিং অফিসারের তত্ত্বাবধানে নতুন করে ইভিএম মেশিন এনে আবার ভোটদান প্রক্রিয়া শুরু হয়।
ন্যদিকে নিজের বুথে ভোট দিলেন বিজেপি প্রার্থী নিরঞ্জন বিশ্বাস৷

নির্বাচনের আগে সারারাত ধরে সন্ত্রাস চালিয়েছে তৃণমূল। মুখে কালো কাপড় বেঁধে মানুষের বাড়ি বাড়ি গিয়ে ভয় দেখিয়েছে যাতে তারা ভোট দিতে না বের হয়। এদিন শান্তিপুর বিধানসভার গোবিন্দপুর মাহিষ্য পাড়া প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৪১ নম্বর বুথে ভোট দিয়ে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে এই অভিযোগ তুললেন বিজেপি প্রার্থী নিরঞ্জন বিশ্বাস। তিনি বলেন শাসক দল তাদের হার নিশ্চিত ভেবে সন্ত্রাস চালাচ্ছে গোটা বিধানসভা জুড়ে। যদিও তিনি বলেন, এই সন্ত্রাসকে উপেক্ষা করে আমরা প্রতিটি বুথে এজেন্ট দিয়েছি। ভয়-ভীতি উপেক্ষা করে বিজেপিকে দুই হাত তুলে আশীর্বাদ করবে এবং আমরা এই বিধানসভা থেকে গতবারের তুলনায় আরো বেশি ভোটে জয়লাভ করব।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

sixteen − 8 =