সিউড়ি: প্রশাসনিক বৈঠক থেকে বীরভূমের তৃণমূল সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলের প্রশংসায় পঞ্চমুখ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷ এদিনের প্রশাসনিক বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রীর ঠিক ডানদিকের পিছনের দিকে একটি চেয়ারে বসে ছিলেন অনুব্রত মণ্ডল। বোলপুরের বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কাজের যখন খোঁজ নিচ্ছিলেন মুখ্যমন্ত্রী, দলের বিধায়কদের কী কী সমস্যা আছে জানতে চাইছিলেন৷ সেই সময়ই বারবার উঠে আসছিল অনুব্রত মণ্ডলের প্রসঙ্গ৷ জেলায় কী কী উন্নয়ন করতে হবে সবটাই জানেন অনুব্রত৷ এরপরই হাসিমুখে অনুব্রতর প্রশংসা করেন মমতা৷ বলেন, কেষ্ট উন্নয়নটা ভালো বোঝে৷
দুবরাজপুর, সাঁইথিয়ার বিধায়করাও জানান যে, তাঁদের যাবতীয় সমস্যার কথা অনুব্রত মণ্ডলকে বললে সমাধান হয়ে যায়। গোটা জেলার খোঁজখবর রাখেন তিনি। মুরারইয়ের বিধায়ক এদিন একটি বাইপাস রাস্তা করার আবেদন জানান মুখ্যমন্ত্রীর কাছে। তখন অনুব্রত সঙ্গে সঙ্গেই জানিয়ে দেন পিডব্লুউডি সার্ভে করে ফেলেছে। এরপরই কেষ্টর প্রশংসা করেন মমতা বলেন, ‘কেষ্ট সব জানে। যারা বলে কেষ্ট শুধু ঝগড়া করে, তারা জানে না ডেভেলপমেন্টের কাজটা ভালো বোঝে সবার থেকে।’ মুখ্যমন্ত্রীর মুখে এই কথা শুনেই হাততালি শুরু হয়ে যায়৷
ভোট আসলেই বিরোধীদের নানান দাওয়াই দিয়ে থাকেন অনুব্রত৷ কখনও চড়াম চড়াম ঢাকের আওয়াজ তো কখনও গুড় বাতাসা৷ অনুব্রতর এই দাওয়াই কারোর অজানা নয়৷ এবার নির্বাচনের আগে কী হবে কেষ্টর দাওয়াই? এদিকে তৃণমূল ২২০টা না পেলে রাজনীতি ছেড়ে দেব,বলেও সম্প্রতি ঘোষণা করেছেন অনুব্রত৷ যদিও এরকম কথা তাঁকে লোকসভার আগেও বলতে শোনা গিয়েছিল৷ দিদির একনিষ্ঠ সৈনিক অনুব্রত মণ্ডল৷ আজ নিজের মুখে প্রশংসা করেও তা আবারও প্রমাণ করলেন মমতা৷