এক ধাক্কায় ১০ টাকা বাড়ল কেরোসিন তেলের দাম, জ্বলবে লণ্ঠন?

এক ধাক্কায় ১০ টাকা বাড়ল কেরোসিন তেলের দাম, জ্বলবে লণ্ঠন?

নয়াদিল্লি: করোনা রুখতে গোটা দেশজুড়ে জারি হয়েছিল লকডাউন৷ দীর্ঘ লকডাউনের কারণে কাজ হারিয়েছেন দেশের বহু মানুষ৷ কমেছে সাধারণ মধ্যবিত্ত জনতার উপার্জন৷ মহামারীর এই পরিস্থিতির মধ্যে দাঁড়িয়েও লাফিয়ে লাফিয়ে বেড়ে গিয়েছে পেট্রোল ও ডিজেলের দাম৷ ভর্তুকিহীন রান্নার গ্যাসের দামও বেড়েছে৷ এবার সাধারণ মধ্যবিত্ত জনতার চিন্তা বাড়িয়ে কেরোসিনে লিটারে ১০টাকা বাড়িয়ে দিয়েছে কেন্দ্র৷ আর তাতেই চরম সমস্যায় পড়েছেন বহু সাধারণ মানুষ৷

করোনা মহামারীর আবহে একধাক্কায় কেরোসিনের দাম লিটার প্রতি ১০ টাকা করে বেড়ে গিয়েছে৷ শতাংশ হিসেবে যা প্রায় ৫৫ শতাংশের কাছাকাছি৷ এক লাফে কেরোসিনের দাম বৃদ্ধির জেরে প্রবল ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন কেরোসিন ডিলাররা৷ তাঁদের অনেকেই দাবি, এই মুহূর্তে সাধারণ গ্রাহকদের আয় নেই৷ কেন্দ্র সরকার এটা বুঝে আগামী নভেম্বর মাস পর্যন্ত বিনামূল্যে খাদ্য সামগ্রী দেওয়ার ঘোষণা করেছে৷ কিন্তু তারপরেও কেরোসিনের দাম ১০ বেড়ে গেলে সাধারণ মানুষ কিনবে কীভাবে? আশঙ্কায় দিন গুনছেন রেশন ডিলার থেকে শুরু করে সাধারণ জনতা৷ রাতারাতি ১০ টাকা কেরোসিনের দাম বৃদ্ধির জেরে প্রবল সমস্যায় মুখে পড়তে চলেছেন বাংলার প্রায় ১০ কোটি মানুষ৷

পরিসংখ্যান বলছে, রাজ্যে জুন মাসে কেরোসিনের দাম ছিল লিটারপ্রতি ১৮ টাকার কাছাকাছি৷ জুলাই মাসে তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২৮ টাকা৷ এই মুহূর্তে জঙ্গলমহল ও আয়লা ক্ষতিগ্রস্ত এলাকার বাসিন্দারা মাসে ১ লিটার কেরোসিন তেল পান৷ ডিজিটাল রেশন কার্ডের গ্রাহকরা মাথাপিছু ৬০০ মিলিলিটার কেরোসিন তেল পান৷ পুরোনো রেশন কার্ডে দেড়শ মিলিলিটার তেল পান গ্রাহকরা৷ এই মুহূর্তে রাজ্যে ৯ কোটি ৯০ লক্ষ রেশন গ্রাহক কেরোসিন তেল সংগ্রহ করেন৷ ৩৫ হাজার ডিলারের থেকে তেল সংগ্রহ করেন গ্রাহকরা৷

কিন্তু কেরাসিন তেলের দাম এক ধাক্কায় ১০ টাকা বেড়ে যাওয়ার কারণে চরম সমস্যায় পড়েছেন সাধারণ মানুষ৷ কেননা, গ্রাম ও শহরতলী এলাকায় বহু মানুষ রেশন থেকে কেরোসিন তেল সংগ্রহ করে তা গৃহস্থলীর কাজে ব্যবহার করে থাকেন৷ কখনও আবার তা খোলাবাজারে বিক্রি করে দেন অনেকেই৷ কিন্তু করো না মহামারীর মাঝে তেলের দাম বেড়ে যাওয়ায় এবার সরাসরি প্রভাবিত হতে চলেছেন বাংলার প্রান্তিক অঞ্চলের বাসিন্দারা৷

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *