রয়েছে বেড, তবুও ফেরানো হল দশ অন্তঃসত্ত্বাকে, রণক্ষেত্র কাটোয়া মহকুমা হাসপাতাল

রয়েছে বেড, তবুও ফেরানো হল দশ অন্তঃসত্ত্বাকে, রণক্ষেত্র কাটোয়া মহকুমা হাসপাতাল

কাটোয়া:  এই হাসপাতালের প্রসূতি বিভাগে রয়েছে ৬০টি বেড৷ গত কয়েক বছরে হাসপাতালের বেশ উন্নতিও হয়েছে৷ অথচ পরিকাঠামো নেই, এই অজুহাতে আজ হাসপাতালের দরজা থেকে ফেরানো হল প্রসব যন্ত্রণা নিয়ে ভর্তি হতে আসা জনা দশেক অন্তঃসত্ত্বাকে৷ হাসপাতালের বাইরে পড়েই কাতরাল তাঁরা৷ প্রতিবাদে বিক্ষোভে ফেটে পড়েন রোগীদের পরিবারের লোকজন৷ এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে ধুন্ধুমার কাণ্ডে বাধে পূর্ব বর্ধমানের কাটোয়া মহকুমা হাসপাতাল চত্বরে৷ 

আরও পড়ুন-  ভিন রাজ্য থেকে মাদক আসত পামেলার কাছে? তদন্তের ভার নিল গোয়েন্দা বিভাগ!

এদিন কাটোয়া মহকুমা হাসপাতালে প্রসব যন্ত্রণা নিয়ে ভর্তি হতে এসেছিলেন আয়েশা খাতুন, বিদিশা চক্রবর্তীর মতো দশ জন অন্তঃসত্ত্বা মহিলা৷ কিন্তু তাঁদের কাউকেই ভর্তি নেওয়া হয়নি৷ কারণ হিসাবে জানানো হয়, হাসপাতালে চিকিৎসার পরিকাঠামো নেই৷ অন্য হাসপাতালে নিয়ে যেতে বলা হয় তাঁদের৷ এর পরেই ক্ষোভে ফেটে পড়েন রোগীর পরিবারের সদস্যরা৷ খবর পেয়েই পরিস্থিতি সামাল দিতে হাসপাতালে পৌঁছয় বিশাল পুলিশ বাহিনী৷  

এদিকে ভর্তি নিয়ে তুলকালামের মাঝেই আরও বেশি অসুস্থ হয়ে পড়েন ওই দশ অন্তঃসত্ত্বা মহিলা৷ বাধ্য হয়ে তড়িঘড়ি তাঁদের স্থানীয় বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়৷ জানা গিয়েছে প্রতিদিন গড়ে প্রায় ১০ থেকে ১৫ জন অন্তঃসত্ত্বা মহিলা এই হাসপাতালে ভর্তি হন৷ শুধু বর্ধমান নয়, নদীয়া, মুর্শিদাবাদ, বীরভূম থেকেও বহু রোগী এই হাসপাতালে ভর্তি হতে আসেন৷ কিন্তু এদিন কেন এমন করা হল, তা ভেবে হতবাক স্থানীয় মানুষজন৷ 

আরও পড়ুন-  প্রতিটি ভোটারের হবে থার্মাল স্ক্যানিং! তাপমাত্রা বেশি হলে বিশেষ টোকেন

এই ঘটনা পরই ড্যামেজ কন্ট্রোলে নামেন কাটোয়া মহকুমা হাসপাতালের সুপার ডাঃ নবারুণ গুপ্ত। তিনি বলেন, যাঁরা এদিন ভর্তি হতে কাটোয়া মহকুমা হাসপাতালে এসেছিলেন তাঁদের পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করা হবে৷ ওই প্রসূতিদের এই হাসপাতালেই ভর্তি করা হবে৷ কিন্তু কেন ফেরানো হল তাঁদের? এর জবাবে তিনি বলেন, ‘‘আসলে একটা ভুল বোঝাবুঝি হয়েছে৷ ঠিক কী হয়েছিল তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে৷’’

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *