বাঁকুড়া: একুশের নির্বাচনের আগে গ্রামের বেকার ছেলেমেয়েদের জন্য কর্মসংস্থানের নতুন পথ দিশা দেখালেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷ ঘোষণা করলেন তাঁর ‘কর্মই ধর্ম’ প্রকল্প৷ মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “আগামী দিন আরও ২ লক্ষ ছেলেমেয়েকে কাজের সুযোগ করে দেওয়ার আমরা ব্যবস্থা করছি। এই যে দেখবেন মাছওয়ালা মাছ বিক্রি করে। তাঁরা একটা সাইকেল নিয়ে যায়। পিছনে একটা ঠান্ডা বাক্স থাকে। আমরা ঠিক করেছি সমবায় ব্যাঙ্ক থেকে ২ লক্ষ ছেলেমেয়েকে আমরা একটা করে বাইকের ব্যবস্থা করে দেব। সেই বাইকের পিছনে একটা বাক্স থাকবে। ওই বাক্সে করে আপনারা শাড়ি বিক্রি করতে পারেন। জামা কাপড় বিক্রি করতে পারেন। আলু পেঁয়াজও বিক্রি করতে পারেন। আমরা ওই প্রকল্পের নাম দিচ্ছি ‘কর্মই ধর্ম’। কোনও কাজই খারাপ নয়। এর ফলে অনেক মানুষের কর্মসংস্থান হবে। ২ লক্ষ মানুষকে কাজের সুযােগ দেওয়া মানে দশ লাখ মানুষের অন্ন সংস্থান করা।”
এদিন বাঁকুড়ায় জনজাতিদের উদ্দেশ্যে মমতা বলেন, তোমরা ধামসা মাদল পাচ্ছো তো? এরপরই সরকারী আধিকারিকদের মমতা বলেন, ওদের বেশি করে ধামসা মাদল দিও, ওরা যাতে কাজ করে খেতে পারে৷ মুখ্যমন্ত্রী বলেন, দেখুন সব কাজ একসঙ্গে হয় না, সব হবে তবে একটু সময় চাই, সময় লাগবে৷ হয়ত আমি এক্ষুণি করে উঠতে পারছি না তবে আমি ৬ মাস বাদে করতে পারি৷ আমাদের কাজটা পৌঁছে দিতে হবে মানুষের কাছে৷ দিদি কে বলো কর্মসূচীতে আপনারা আমায় যা কাজ দিয়েছিলেন তার ৯০ শতাংশ কাজ আমি করে দিয়েছি৷
এদিন বাঁকুড়ার মঞ্চ থেকে আরও একটি বড় ঘোষণা করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷ ২০২১-এর জুনের পরও বিনামূল্যে রেশন বিলির কথা ঘোষণা করেন তিনি৷ তিনি বলেন, “জুন পর্যন্ত বিনামূল্যে রেশন বিলির কথা আগেই ঘোষণা করা হয়েছিল। জুনের পরও তা মিলবে। অর্থাৎ বাড়ানো হবে বিনামূল্যে রেশন বিলির সময়সীমা।” একইসঙ্গে মমতা বলেন, “আগামীতেও আমাদের সরকারই থাকবে। তাই কোনও চিন্তা করবেন না। জুনের পরও সকলে বিনামূল্যে ডাল-ভাত খেয়ে বাঁচবেন।”