kalyani professor
কল্যাণী: এই নিয়ে টানা পাঁচবার বিশ্বের শীর্ষ ২ শতাংশ বিজ্ঞানীর তালিকায় নিজের জায়গা ধরে রাখলেন কল্যাণীর সরকারি ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের অধ্যাপক প্রভাসকুমার রায়৷ ২০১৯ সাল থেকেই ক্যালিফোর্নিয়ার স্ট্যানফোর্ড ইউনিভার্সিটি প্রকাশিত শীর্ষ ২ শতাংশ বিজ্ঞানীর বিশ্ব র্যাঙ্কিংয়ে নাম রয়েছে ইলেকট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের অধ্যাপক প্রভাসকুমারের৷ ইঞ্জিনিয়ারিং এবং প্রযুক্তি ক্ষেত্রের জন্য তিনি এই স্বীকৃতি পেয়েছেন। গত ৫ সেপ্টেম্বর, শিক্ষক দিবসে ‘শিক্ষারত্ন’ পুরস্কারও পেয়েছেন তিনি। মূলত পাওয়ার সিস্টেম অপটিমাইজেশন, ইভোল্যুশনারি অলগোরিদম, আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্সি এবং মেশিন লার্নিংয়ের উপর তিনি গবেষণা করছেন। তাঁর এই ধারাবাহিক সাফল্যে খুশি কলেজের অধ্যাপক, পড়ুয়া থেকে পরিবারের সদস্যরা৷ খুশি গোটা বাংলা৷
প্রভাসকুমারের বাড়ি বাঁকুড়া জেলার মাজিয়া গ্রামে৷ গ্রামের ছেলে হলেও পরিবারের উৎসাহ ও সহযোগিতায় তিনি উচ্চশিক্ষা লাভ করেন। যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ইলেকট্রিক্যাল মেশিনে স্নাতকোত্তর করার পর দুর্গাপুর থেকে ইলেকট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে পিএইচডি করেন। কর্মজীবন শুরু হয়েছিল একটি বেসরকারি ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের অধ্যাপনা দিয়ে। ২০১৬ সালের ডিসেম্বর মাসে কল্যাণী গভর্নমেন্ট ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজে যোগ দেন। এখন থাকেন আসানসোলে৷ জাতীয় ও আন্তর্জাতিক জার্নাল সহ বিভিন্ন কনফারেন্স মিলিয়ে ২৩০টিরও বেশি গবেষণাপত্র রয়েছে তাঁর। এর পাশাপাশি ২১টি বইয়ের অধ্যায় এবং পাঁচটি আন্তর্জাতিক মানের বইয়ের লেখক ও সম্পাদক হিসেবেও কাজ করেছেন প্রভাসকুমার। আন্তর্জাতিক স্তরের একাধিক পুরস্কার রয়েছে তাঁর ঝুলিতে। তাঁর অধীনে ১২ জন ছাত্রছাত্রী পিএইচডি করেছেন। আগামী দিনেও একই ভাবে গবেষণার কাজ চালিয়ে যাতে চান কৃতি এই বিজ্ঞানী৷