‘হাত ভেঙে গুঁড়িয়ে দেওয়ার ক্ষমতা রাখি’, মমতা-অভিষেকের সামনেই আক্রমণাত্মক কল্যাণ

‘হাত ভেঙে গুঁড়িয়ে দেওয়ার ক্ষমতা রাখি’, মমতা-অভিষেকের সামনেই আক্রমণাত্মক কল্যাণ

894f9a573705ca6980e0378f28e4844e

কলকাতা: পঞ্চায়েত ভোটকে পাখির চোখ করে কোমর বাঁধতে শুরু করেছে তৃণমূল৷ বৃহস্পতিবার নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়ামে ছিল শাসক দলের মেগা সমাবেশ৷ তৃণমূলের বড় কোনও সভা-সমাবেশ মানেই মঞ্চে প্রধান বক্তা হিসাবে উপস্থিত থাকেন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর বক্তব্যেই সভা শেষ হয়৷ এটাই দস্তুর। বিগত কয়েক বছর ধরে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বক্তব্যের আগে দলের ‘নম্বর টু’ হিসেবে বক্তব্য রাখেন দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। কিন্তু বৃহস্পতিবার নেতাজি ইন্ডোরের ঘটল তাঁর ব্যতিক্রিম৷ অভিষেকের পরে এবং মমতার ঠিক আগে বক্তব্য রাখতে উঠলেন শ্রীরামপুরের তৃণমূল সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়। মমতা-অভিষেকের সামনে কর্মীসভায় রীতিমতো বোমা ফাটালেন শ্রীরামপুরের বর্ষীয়ান সাংসদ। 

আরও পড়ুন- ভিত্তিহীন এবং মিথ্যা! দেবযানীর মায়ের অভিযোগে শোরগোল হতেই বিবৃতি সিআইডির

এদিন শুরু থেকেই কল্যাণ ছিলেন আক্রমণাত্মক৷ তিনি বলেন, “কেউ কেউ বলছে হাত কেটে দেব, পা কেটে দেব, আয় দেখে নেব। আমি তাদের বলতে চাই শুনে রাখ, দিদি বলেছে ভাল করে থাকতে, শান্ত হয়ে থাকতে তাই শান্ত হয়ে রয়েছি। দিদি বলেছে, ‘বদলা নয় বদল চাই’ তাই চুপ আছি। কিন্তু একটা কথা বলে যেতে চাই, যদি কোনও বিজেপির লোক বলে হাত ভেঙে দেব, তবে হাত তোলার আগে আমরা তৃণমূল কংগ্রেস কর্মীরা সেই হাত ভেঙে গুঁড়িয়ে দেওয়ার ক্ষমতা রাখি।’’ তাঁর সাফ কথা, ‘‘আমি কোনও ‘ফাইন’ ভাষায় কথা বলতে পারব না। আমাকে ভাল লাগুক আর না লাগুক, আমি যা আমি তাই-ই। আমরা কোনও কর্মীর গায়ে হাত পড়লে, আমিও লড়ে নেব, আমি ছাড়ব না।”