কলকাতা: নারদা মামলায় সকালে গ্রেপ্তার হয়ে বিকেলের মধ্যেই জামিন পেয়ে গেলেন ফিরহাদ হাকিম, সুব্রত মুখোপাধ্যায়, মদন মিত্র এবং শোভন চট্টোপাধ্যায়। জামিন মঞ্জুর হওয়ার পর সাংবাদিক বৈঠক করে আইনজীবী তথা তৃণমূল কংগ্রেস সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় সিবিআইকে একহাত নিয়েছেন। তিনি স্পষ্ট দাবি করেছেন যে আজ সিবিআই যা করেছে তা সমস্ত রেকর্ড ভেঙে দিয়েছে। এক্ষেত্রে সুপ্রিম কোর্টের তিন বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চের প্রসঙ্গ টেনে আনেন কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়।
তিনি জানান, সুপ্রিম কোর্ট সম্প্রতি নির্দেশ দিয়েছিল যে করোনা ভাইরাস পরিস্থিতির দিকে তাকিয়ে অযথা কাউকে গ্রেপ্তার করা যাবে না। কিন্তু আজ যেভাবে সকালবেলা প্রত্যেককে সিবিআই গ্রেফতার করেছে তা একেবারেই অনৈতিক। এদিকে সিবিআই যে অভিযোগ আনছে তাও যে যুক্তিসংগত নয় তার ব্যাখ্যা দেন কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন সংবিধান অনুযায়ী, কেউ যদি ঘুষ চায় এবং ঘুষ নেয়, সেটি অপরাধ বলে গণ্য হতে পারে কিন্তু, কেউ ঘুষ না চাইলেও যদি তার কাছে টাকা দিয়ে চলে যাওয়া হয় সেটা অপরাধ বলে গণ্য হয় না। এক্ষেত্রেও ঠিক একই ব্যাপার ঘটেছে। এর পাশাপাশি রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়কেও একহাত নিয়েছেন কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি স্পষ্ট জানিয়েছেন এই গ্রেফতারির অনুমতি মিলেছিল রাজ্যপালের কাছ থেকে। কিন্তু রাজ্যপাল নিজে থেকে কোন এই ধরনের অনুমতি দিতে পারেন না। তিনি যেভাবে অনুমতি দিয়েছেন সেটা একেবারেই সংবিধানের বাইরে বলে দাবি করেছেন আইনজীবী কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়।
সিবিআই পক্ষের আইনজীবী যুক্তি দেখান, ধৃতরা বাইরে বেরিয়ে প্রমাণ নষ্ট করে দিতে পারেন। ধৃতদের আইনজীবীরা পাল্টা যুক্তি দেখান, ফিরহাদ কলকাতা পুরসভার প্রধান প্রশাসক। সাম্প্রতিক কোভিড পরিস্থিতি মোকাবিলার জন্য তাঁকে প্রয়োজন। অবশেষে আদালত সকলের শর্তসাপেক্ষ অন্তর্বর্তী জামিন মঞ্জুর করে। এদিকে জানা গিয়েছে, সিবিআইয়ের বিশেষ আদালতের এই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হতে চলেছে সিবিআই তদন্তকারী আধিকারিকরা। আগামীকাল কলকাতা হাইকোর্টে এই ৪ জনের জামিন খারিজের আবেদন করা হবে।