কলকাতা: এবারের দুর্গা পুজোর সবথেকে বড় আকর্ষণ শ্রীভূমির ‘বুর্জ খলিফা’। কিন্তু প্রথম থেকে অনেক বিতর্কে পড়েছে রাজ্যের মন্ত্রী সুজিত বসুর এই পুজো। লেজার আলোর জন্য সমস্যা থেকে শুরু করে এই মণ্ডপ দেখতে আসা মানুষের ভিড়, সমালোচিত হয়েছেন সুজিত নিজেই। লেজার আলো আগেই বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে, বন্ধ হয়ে গিয়েছে দর্শনার্থীদের জন্য পুজো প্যান্ডেলও। সাধারণের একাংশ যেমন নিশানা করেছিলেন সুজিত বসুকে, ঠিক তেমনই তাঁকে নিশানা করলেন খোদ তাঁর দলেরই সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বললেন, পুজো উদ্যোক্তাদের আরও দায়িত্বশীল হতে হত।
নবমী থেকেই বন্ধ হয়ে গেছে ‘বুর্জ খলিফা’র দুয়ার! করোনা আবহে মন্ত্রী সুজিত বসুর শ্রীভূমি স্পোর্টিং ক্লাবের পুজো মণ্ডপে দর্শকদের প্রবেশের উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করে পুলিশ৷ মণ্ডপে স্থানীয়দের প্রবেশে অনুমতি থাকলেও ‘বহিরাগত’দের প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা জারি হয়েছে৷ আর ঠিক এই ইস্যুতেই কল্যাণ বলছেন, সুজিত বসু খুবই ভালো ছেলে। তবে তিনি আরও বেশি সতর্ক হতে পারতেন। রাজ্য সরকার খোলামেলা প্যান্ডেল করতে বলেছিল কারণ কোভিডের বাড়বাড়ন্ত। কিন্তু এখানে সেসব বেশি নজর দেওয়া হয়নি। কেন ভিড় ডেকে আনা হল, প্রশ্ন তোলেন তিনি। তাঁর কথায়, করোনা সংক্রমণকে মাথায় রেখে সমস্ত কিছুর আয়োজন করা উচিত ছিল পুজো উদ্যোক্তাদের।
প্রসঙ্গত, এই ক্লাবের পুজো দেখার জন্য প্রথম থেকেই ভিড় বাড়ছিল উল্টোডাঙ্গা এলাকায়। বিধাননগর স্টেশনে প্রচুর যাত্রীদের সমাগম দেখা গিয়েছিল। মানুষের ভিড় এত বাড়ছিল যে রাস্তায় গাড়ি চলাচলে প্রভাব পড়ছিল। প্রচুর জন সমাগমে সংক্রমণের ভয় আরও মারাত্মকভাবে বাড়ছিল। তাই পূর্ব রেল বড় সিদ্ধান্ত নিয়ে জানিয়ে দিয়েছে যে, বৃহস্পতিবার বিকেল ৫টা থেকেই বিধাননগরে আর শিয়ালদহগামী ট্রেন দাঁড়াবে না। উল্লেখ্য, ‘বুর্জ খলিফা’ দর্শনে বেলাগাম ভিড় নিয়ন্ত্রণে বুধবার রাত থেকেই ব্যারিকেড দিয়ে ঘিরে দেওয়া হয় শ্রীভূমির পুজোয় প্রবেশ পথ৷ দর্শকদের সরিয়ে দেওয়া হয়৷