কলকাতা: নারদা মামলায় ফিরহাদ হাকিম থেকে শুরু করে সুব্রত মুখোপাধ্যায় এবং মদন মিত্র গ্রেফতার হওয়ার পর থেকে শহর কলকাতা তথা রাজ্য উত্তপ্ত। নিজাম পালেসের বাইরে তৃণমূল কংগ্রেসের কর্মী এবং সমর্থকদের বিক্ষোভ আরো বাড়ছে। অন্যদিকে রাজভবনের বাইরেও বিক্ষোভ দেখান তৃণমূল কংগ্রেসের কর্মী এবং সমর্থকরা। কারণ বিগত কয়েক দিন ধরে লাগাতার রাজ্য সরকার এবং মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে আক্রমণ করে চলেছেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়। এবার তাঁকে দৈত্যের সঙ্গে তুলনা করলেন তৃণমূল কংগ্রেস সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়।
কল্যাণের কথায়, সিবিআই জানিয়েছে যে রাজ্যপাল অনুমতি দেওয়ার পরেই তারা আজ রাজ্যের মন্ত্রীদের গ্রেফতার করেছে। কিন্তু রাজ্যপাল এই অনুমোদন দিতে পারেন না, এটা অবৈধ, বলে জানাচ্ছেন কল্যাণ। এই প্রসঙ্গে তাঁর বিস্ফোরক মন্তব্য, রাজ্যপাল একজন দৈত্য, তিনি রক্ত খেকো বাঘ! কল্যাণ আরো প্রশ্ন তুলছেন, একই মামলায় জড়িত শুভেন্দু অধিকারী এবং মুকুল রায়কে কেন গ্রেফতার করা হল না? এদিকে খোদ নারদা কর্তা ম্যাথ্যু স্যামুয়েলও একই প্রশ্ন তুলেছেন। যদিও বিজেপির তরফে দাবি করা হচ্ছে এই গ্রেপ্তারি সঙ্গে রাজনীতির কোনো সম্পর্ক নেই। তাদের মূল বক্তব্য সিবিআই নিজের মতো কাজ করছে, তাদের সঙ্গে বিজেপির কোন যোগাযোগ নেই। যদিও তৃণমূল কংগ্রেস তাদের বক্তব্যে অনড় যে রাজনৈতিক প্রতিহিংসার কারণে প্রধানমন্ত্রীর নরেন্দ্র মোদী এবং স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের নির্দেশে এই কাজ করা হচ্ছে। বাংলার বিধানসভা নির্বাচনের ফলাফল কিছুতেই মেনে নিতে পারছে না বিজেপি।
এদিকে এই ইস্যুতে ইতিমধ্যেই সোশ্যাল মিডিয়ায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে চরম আক্রমণ করেছেন রাজ্যপাল। তিনি টুইট করে লিখেছেন, মুখ্যমন্ত্রীর উচিত সংবিধান এবং আইন মেনে চলা। পরিস্থিতি যা তৈরি হয়েছে তাতে স্পষ্ট রাজ্যের আইন, শৃঙ্খলা ভেঙে পড়েছে। রাজ্যপাল আরও বলেন, রাজ্যের এই পরিস্থিতি ব্যাপক উদ্বিগ্ন এবং মুখ্যমন্ত্রীর উচিত পদক্ষেপ গ্রহণ করা। এছাড়া আইন-শৃঙ্খলা বজায় রাখতে পশ্চিমবঙ্গ পুলিশ, কলকাতা পুলিশ এবং রাজ্যের স্বরাষ্ট্র দফতরকে অনুরোধ জানিয়েছেন রাজ্যপাল। তাঁর স্পষ্ট অভিযোগ, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার জন্য রাজ্য সরকারের তরফ থেকে কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি।