কলকাতা: মেদিনীপুরের কলেজ মাঠে জনসভায় আজ সমস্ত জল্পনার অবসান ঘটিয়ে বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন শুভেন্দু অধিকারী। গেরুয়া শিবিরে নাম লিখানোর পরেই একের পর এক আক্রমণ করেছেন তৃণমূল কংগ্রেস এবং মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে। এদিকে সাংবাদিক বৈঠক করে তৃণমূল কংগ্রেসের শ্রীরামপুরের সাংসদ কল্যান বন্দ্যোপাধ্যায়ের শুভেন্দু অধিকারীকে কটাক্ষ করতে ছাড়লেন না। একদিকে পরিবার তন্ত্র নিয়ে বিজেপিকে যেমন আক্রমণ করলেন, অন্যদিকে শুভেন্দু অধিকারীকে চ্যালেঞ্জ করলেন ফের একবার নন্দীগ্রামেই ভোটে দাঁড়ানোর।
এদিন সাংবাদিক বৈঠক করে কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, মেদিনীপুর কলেজ মাঠে যেখানে বিজেপির সভা করেছে সেখানে তিনি স্কুলে পড়াকালীন খেলাধুলা করতেন। সেখানে কত লোক হয় তার আন্দাজ আছে। এদিন কিন্তু সেই মাঠ ধরাতে পারেনি বিজেপি। এই প্রসঙ্গে শুভেন্দু অধিকারীকে চ্যালেঞ্জ করে কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, অনুরোধ করা হচ্ছে তিনি যেন নন্দীগ্রামের একবার বিধানসভা ভোটে দাঁড়ান, ওই সিআইএসএফ আর কনভয়ে নিয়ে যেন তাকে সেখানেই দাঁড়াতে দেখতে পাওয়া যায়। তাহলেই তৃণমূল কংগ্রেস নির্বাচনে বুঝিয়ে দেবে আসল বিজেতা কে। কল্যাণের দাবি, ২০২১ সালের মে মাসে ঝড় উঠবে, সেই ঝড়ে আকাশ থেকে মাটি পর্যন্ত একটাই নাম শোনা যাবে, সেই নাম মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আর শুভেন্দু অধিকারী সহ গোটা বিজেপিকে সেই নাম নিজেদের কানে কানে শুনতে হবে। এর পাশাপাশি পরিবারতন্ত্রের প্রসঙ্গ তুলেও কল্যাণ বিজেপিকে আক্রমণ করেন। বলেন, বিজেপি তৃণমূল কংগ্রেসের বিরুদ্ধে পরিবারতন্ত্র নিয়ে আক্রমণ করছে, এদিকে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের ছেলে বিসিসিআই সেক্রেটারি হয়ে গেছে বিনা যোগ্যতায়। একইসঙ্গে মেদিনীপুরের অধিকারী পরিবারেও হয়তো পরিবারতন্ত্র দেখতে পায় না বিজেপি। এই প্রেক্ষিতেই কল্যাণ স্পষ্ট করে দেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পরিবারের কেউ পরবর্তী সময় মুখ্যমন্ত্রী হতে আগ্রহী নয়।
অন্যদিকে দেশজুড়ে চলতে থাকা কৃষক আন্দোলনের উল্লেখ করে তৃণমূল কংগ্রেস সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় বিজেপিকে আক্রমণ করে বলেন, বর্তমান কেন্দ্রীয় সরকার কৃষক বিরোধী সরকার। দেশজুড়ে যখন কৃষি আন্দোলনের জোয়ার তখন তাদের দলের তরফে সুপ্রিম কোর্টে যাওয়া হচ্ছে। এর থেকে স্পষ্ট তারা একেবারেই কৃষক দরদী নয়। এক্ষেত্রে নাম না করে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকে কটাক্ষ করেন তিনি। মন্তব্য করেন, “কৃষকদের বাড়িতে খেতে খেতেই কৃষক দরদী হওয়া যায় না৷”