কলকাতা: ফের শ্রীরামপুরের সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের নিশানায় প্রশান্ত কিশোর ও তাঁর সংস্থা আইপ্যাক৷ পুরভোটের আগে প্রার্থী বিভ্রাট নিয়ে তুলোধোনা করলেন পিকে’র সংস্থাকে৷ রবিবার রাজনীতির আঙিনায় উত্তাল বাড়িয়ে কুণাল বলেছিলেন, ‘‘পুরভোটে প্রার্থীদের জেতাতে ময়দানে আইপ্যাককে দেখা যাচ্ছে না৷ আমাকেই খাটতে হচ্ছে।’’ সোমবার বললেন, ‘‘আইপ্যাকের জন্যই এত নির্দল হয়েছে।’’
আরও পড়ুন- ‘বুথ দখল করলে, ইভিএম ভাঙব, ইতিহাস করব’, হুঁশিয়ারি অর্জুনের, পাল্টা কুণাল
এদিন বোমা ফাটিয়ে কল্যাণ বলেন, ‘‘পুরভোটের আগে দলে দলে নির্দল প্রার্থী হচ্ছে৷ আপাত দৃষ্টিতে এর দুটো কারণ রয়েছে৷ গত জুন-জুলাই মাসে যখন বিভিন্ন মানুষজনকে প্রশাসক মণ্ডলীর সদস্য করা হয়েছিল, তখন আমাদের সঙ্গে কেউ কোনও আলোচনাই করেননি। এত দিন ধরে সাংসদ হিসাবে কাজ করছি, কেউ কোনও কথাই বললেন না। আই প্যাকের রিপোর্ট অনুযায়ী কলকাতার কোনও নেতার সুপারিশে সব হয়ে গেল! আজ দেখা যাচ্ছে প্রায় ৫০ শতাংশ ক্ষেত্রেই সেই সব সদস্য নির্দল প্রার্থী হয়ে দাঁড়িয়ে গিয়েছেন।’’
এখানেই শেষ নয়৷ শ্রীরামপুরের সাংসদ আরও বলেন, ‘‘সেই সময় দিদি, সুব্রত বক্সী এবং পার্থ চট্টোপাধ্যায় যদি বিষয়টা দেখতেন যে কারা সদস্য হচ্ছেন, তা হলে হয়তো আজ এই পরিস্থিতি তৈরি হত না। আইপ্যাকের সদস্যরা যেখানে যেখানে গিয়ে সার্ভে করেছেন, সেখানে সেখানেই আট-দশ জনকে গিয়ে বলেছেন, আপনারাই প্রার্থী হবেন। তাঁদের কাছ থেকে ডিটেলস নেওয়া হয়েছে৷ অদ্ভুত ব্যাপার! আইপ্যাকের ঠেলায় আমাদের জান বেরিয়ে যাচ্ছে।’’ কল্যাণের কটাক্ষ, ‘‘রাজনৈতিক দল নিজের মত অনুযায়ী চলে, কনট্র্যাক্টর দিয়ে রাজনৈতিক দল চলে না। এখানে আই প্যাকের ছেলেটাকে খুঁজছি, পেলে একবার সুন্দর করে পালিশ করে দিতাম।’’
” style=”border: 0px; overflow: hidden”” title=”YouTube video player” width=”560″>