কলকাতা: এদিন মেদিনীপুরে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের উপস্থিতিতে বিজেপি শিবিরের নাম লিখিয়েছেন শুভেন্দু অধিকারী। জনসভা করে নিজের পুরনো দল তৃণমূল কংগ্রেসের বিরুদ্ধে একরাশ ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন তিনি। এদিকে সাংবাদিক বৈঠক করে চলুন মূল কংগ্রেসের সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় একদিকে যেমন পরোক্ষে শুভেন্দু অধিকারীকে বিঁধলেন, ঠিক তেমনই পরিবারতন্ত্র নিয়ে বিজেপিকে খোঁচা দিলেন।
এদিন কল্যাণ বলেন, বিজেপি প্রথম থেকে পরিবার তন্ত্র নিয়ে কথা বলে আসছে এবং নিশানা করছে তৃণমূল কংগ্রেসকে। এখন তিনি প্রশ্ন তুললেন, মেদিনীপুরের অধিকারী পরিবারে কি পরিবারতন্ত্র নেই? শুধু এই প্রশ্ন নয়। কল্যান প্রশ্ন করেন, কিসের যুক্তিতে অমিত সাহা দেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী হওয়ার পরেই তাঁর ছেলেকে বিসিসিআই সেক্রেটারি করে দেওয়া হয়? এখানে কি পরিবারতন্ত্রের যুক্তি খাটে না, কটাক্ষ করেন কল্যাণ। একই সঙ্গে ভারতীয় জনতা পার্টিকে আক্রমণ করে তিনি বললেন, এটি বিশ্বের সবচেয়ে বড় দুর্নীতিগ্রস্ত দল, এটা একটা লুটেরাদের পার্টি। তিনি আরো অভিযোগ তোলেন, ভারতীয় জনতা পার্টি ক্রমাগত নিজেদের ক্ষমতার অপব্যবহার করছে, সাধারণ মানুষের টাকা মেরে চলে যাচ্ছে। একইসঙ্গে কেন্দ্রীয় বিভিন্ন এজেন্সি দিয়ে বিরোধী দলের একাধিক নেতৃত্বকে ভয় দেখাচ্ছে।
অন্যদিকে দেশজুড়ে চলতে থাকা কৃষক আন্দোলনের উল্লেখ করে তৃণমূল কংগ্রেস সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় বিজেপিকে আক্রমণ করে বলেন, বর্তমান কেন্দ্রীয় সরকার কৃষক বিরোধী সরকার। দেশজুড়ে যখন কৃষি আন্দোলনের জোয়ার তখন তাদের দলের তরফে সুপ্রিম কোর্টে যাওয়া হচ্ছে। এর থেকে স্পষ্ট তারা একেবারেই কৃষক দরদী নয়। এক্ষেত্রে নাম না করে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকে কটাক্ষ করেন তিনি। মন্তব্য করেন, “কৃষকদের বাড়িতে খেতে খেতেই কৃষক দরদী হওয়া যায় না”। প্রসঙ্গত, এদিন মেদিনীপুরের সভার করার আগে এক কৃষক পরিবারে মধ্যাহ্নভোজ করেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। আদ্যপ্রান্ত বাঙালি মেনু ছিল তাঁর জন্য। রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের অনুমান, দেশজুড়ে চলছে দেখা কৃষি আন্দোলনের আবহে বাংলার কৃষকদের মন পেতেই এক কৃষক পরিবারের মধ্যাহ্নভোজের আয়োজন করা হয়েছিল বিজেপির তরফে।