প্রশাসনিক বৈঠকে কল্পতরু মুখ্যমন্ত্রী, করলেন একের পর এক জনমোহিনী ঘোষণা!

প্রশাসনিক বৈঠকে কল্পতরু মুখ্যমন্ত্রী, করলেন একের পর এক জনমোহিনী ঘোষণা!

মেদিনীপুর:  পশ্চিম মেদিনীপুরে প্রশাসনিক সভায়  ফেরে কল্পতরু মখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷ একের পর এক ঘোষণা করলেন তিনি৷ হাতির আক্রমণে মৃতদের পরিবারকে আর্থিক সাহায্যের পাশাপাশি একজন সদস্যকে হোমগার্ডের চাকরি দেওয়ার কথা ঘোষণা করলেন মুখ্যমন্ত্রী৷ পাশাপাশি মাওবাদীর হাতে মৃত ব্যক্তির পরিবারকে ৪ লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণ ও একটি হোমগার্ডের চাকরি দেওয়ার কথাও ঘোষণা করেন তিনি৷  

আরও পড়ুন- কেন থমকে শিক্ষক নিয়োগ? জেলায় জেলায় বিক্ষোভ উচ্চ প্রাথমিকের হবু শিক্ষকদের

 

এদিন মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ঝাড়গ্রাম, পুরুলিয়া, পশ্চিম মেদিনীপুর সহ বাংলার বেশ কয়েকটি জেলায় প্রায়শই চলে হাতির তাণ্ডব৷ হাতির আক্রমণে প্রচুর মানুষের মৃত্যু হয়৷ হাতির আক্রমণে কোনও ব্যক্তির মৃত্যু হলে তাঁদের পরিবারের পাশে দাঁড়াবে রাজ্য সরকার৷ আর্থিক ক্ষতিপূরণের পাশাপাশি দেওয়া হবে স্পেশাল হোমগার্ডের চাকরি৷ 

 

এছাড়াও এদিন মুখ্যমন্ত্রী বলেন, জঙ্গলমহলে মাওবাদীদের হাতে বহু মানুষ খুন হয়েছিলেন, অনেকে আজও নিখোঁজ৷ এমন বহু মানুষ আছেন, ১০ বছর পরও যাঁদের খোঁজ মেলেনি৷ তদন্ত করেও কোনও সন্ধান পাওয়া যায়নি, সেই সকল ব্যক্তির পরিবারকে ৪ লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণ এবং একজন সদস্যকে স্পেশাল হোমগার্ডের চাকরি দেওয়া হবে৷ এছাড়াও তিনি বলেন, মাওবাদী এলাকায় সন্ত্রাস মোকাবিলায় বেশ কিছু স্থানীয় যুবক-যুবতী জুনিয়র কনস্টেবল হিসাবে কাজে যোগ দিয়েছিলেন৷ যাঁরা পাঁচ বছর ধরে চাকরি করছেন, তাঁদের কনস্টেবল হিসাবে প্রোমোশন দেওয়া হবে৷ মাওবাদী দমনে তাঁদের অবদানকে স্বীকৃতি জানিয়ে এই পদোন্নতি বলে ঘোষণা করা হয়েছে৷ অবিলম্বে ৪,২৮৪ জনকে এই প্রোমোশন দেওয়া হবে বলেও জানান তিনি৷  

আরও পড়ুন- BREAKING: করোনায় আক্রান্ত সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়, ভর্তি হাসপাতালে

 

এদিন প্রশাসনিক বৈঠকে মাটির সৃষ্টি প্রকল্পে নিয়েও আলোচনা হয়৷ মুখ্যমন্ত্রী বলেন, এই প্রকল্প থেকে লক্ষ লক্ষ মানুষ উপকৃত হবে৷ কর্ম সংস্থান তৈরি হবে৷ এর পরেই রাজীব সিনহা বলেন, পশ্চিমাঞ্চলের ছটি জেলায় প্রচুর বন্ধ্যা জমি রয়েছে৷ যেখানে কোনও ধরনের চাষ হয় না৷ সেই সকল পতিত জমিতেই গড়ে উঠবে মুখ্যমন্ত্রীর স্বপ্নের প্রকল্প মাটির সৃষ্টি৷ ছটি জেলা মিলিয়ে প্রায় ৫০ হাজার এক জমিকে কাজে লাগিয়েই উপার্জন করা হবে৷ 

 

এদিনের বৈঠকে পুজো কমিটিগুলির কাছে সময় মতো টাকা পৌঁছে দেওয়ার নির্দেশও দেন মুখ্যমন্ত্রী৷ তিনি জানান, পুলিশের অনুমতিপ্রাপ্ত পুজো কমিটি তো আছেই, যারা ১০ বছর ধরে পুজো করছে, এবার তাদেরও অনুমতি দেওয়া হবে৷ এবং তারা প্রত্যেকে যাতে ৫০ হাজার টাকা করে পায়, তা নিশ্চিত করতে হবে পুলিশকে৷ কোনও পঞ্চায়েতি বাধা যেন প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করতে না পারে, সে বিষয়টিও স্পষ্ট করে দিয়েছেন তিনি৷ এছাড়াও মন্দির সংস্কারের জন্য ১ কোটি টাকা দেওয়া হয়েছে৷ এছাড়াও ক্ষদিরাম বসুর জন্মভিটে সংরক্ষণ ও সৌন্দর্যায়ন করার কথাও ঘোষণা করেন তিনি৷  

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

7 + thirteen =