কলকাতা: সেই ভোরের মাহেন্দ্রক্ষণ, নির্মল করে দেওয়া বাতাস, সকাল সকাল বরাবর খুলে যায় মায়ের বাড়ি, কালীঘাট। প্রায় তিনমাস বন্ধ থাকার পর খুলল কালীঘাট। সারা বছর মায়ের আশীর্বাদ নিয়ে চলেন যে সমস্ত ভক্ত অনুরাগীরা, তাদের মনস্কামনা এতদিন বাড়িতে থেকেই পূর্ণ করতে হয়েছে। এবার মন্দির খোলায় তাঁরা মাতৃদর্শনের জন্য উদগ্রীব হয়ে ভিড় জমিয়েছেন মন্দিরে। তবে করোনার জন্য ভক্তদের ভিড় জমানোতেও বাধ্যকতা মানা হয়েছে। ভোররাত থেকে লাইনে দাঁড়িয়ে মাতৃদর্শনে খামতি নেই পূণ্যার্থীদের। ঠিক ছটায় নিয়মমত খুলে গেল মন্দির। একে একে ভক্তরা প্রবেশ করলেন মন্দিরে।
মন্দিরের বাইরে লাইনে দাঁড়িয়ে থাকা ভক্তদের সামলাতে সকাল থেকেই উপস্থিত মন্দির কমিটির সদস্য এবং কালীঘাট থানার পুলিশ। সোশ্যাল ডিস্ট্যান্সিং বিধি যাতে উপযুক্তভাবে মানা হয় সেদিকে নজর রাখা হল। ২ নম্বর গেট পেরিয়ে স্যানিটাইজেশন টানেলগুলি থেকে বেরনোর পর কেবলমাত্র ১০ জন করে অনুরাগীকেই মন্দির চত্বরে প্রবেশের অনুমতি দেওয়া হচ্ছে। মাস্ক পরে থাকলে এবং দেহের তাপমাত্রা নিরাপদ সীমার ভিতরে থাকলে তবেই তাদের ভিতরে প্রবেশ করতে দেওয়া হচ্ছে। চক দিয়ে এঁকে দেওয়া গোলের ভিতরে ভক্তদের দাঁড়াতে হচ্ছে।
লাইনের গতি ধরে এগিয়ে যেতে যতক্ষণ না দোলমণ্ডপে পৌঁছান। গর্ভগৃহে কারোকে ঢুকতে দেওয়া হচ্ছে না। মন্দির কমিটির মতে আড়াই ফুট উচ্চতার গর্ভগৃহে ৬ ফুট দূরত্বের বিধি মানা সম্ভব নয়। তবে স্বাস্থ্য বিধি ও করোনা বিধির কথা মাথায় রেখে প্রসাদ, ফুল কিংবা চরণামৃত কারোকে দেওয়া হচ্ছে না। মন্দির কমিটির তরফে জানানো হয়েছে। তিনি আরও জানিয়েছেন বহু মানুষ যারা নিয়মিত দর্শন করতেন তাঁরা ছাড়া বহুদূর থেকেও অনেকে আসেন দর্শন করতে। প্রথম দফায় সকালে দর্শন হওয়ার পর দ্বিতীয় দফায় বিকেলেও ৪টে থেকে ৬.৩০টা পর্যন্ত দর্শন চলে। জানা গেছে প্রায় ১৫০ থেকে ২০০ মানুষ প্রথম দিন দর্শনের জন্য আসেন মন্দিরে।