বহরমপুর: প্রায় ২৫ বছর আগের কথা। গণেশের দুধ খাওয়ার গুজব নিয়ে তোলপাড় হয়েছিল দেশজুড়ে। এবার তেমনই ঘটনা ঘটল বহরমপুরের কৃষ্ণমাটি ছয়ঘড়ি পূর্বপাড়ায়। স্থানীয়দের বক্তব্য, এখানকারই একটি মন্দিরে কালী প্রতিমার ডান চোখ দিয়ে জল গড়িয়ে পড়তে দেখেছেন তাঁরা। এমন খবর ছড়ায় হাওয়ার চেয়েও দ্রুত গতিতে। এক্ষেত্রেও তার ব্যতিক্রম হয়নি। ঝড়ের চেয়েও দ্রুত গতিতে ছড়িয়েছে খবর। আর সঙ্গে সঙ্গেই মন্দিরে ভিড় হয়েছে দর্শনার্থীদের।
এমন খবর পাওয়ার পরপরই মন্দের চলছে পুজো অর্চনা। বাঁধ ভেঙেছে ভক্তদের আবেগও। দূর দূরান্ত থেকে ভক্তের তাঁদের আরাধ্যা দেবীকে দর্শন করতে আসছেন। কেউ কেউ তো আবার এসে কেঁদেও ফেলছেন। কেউ ভক্তিতে গদগদ হয়ে লুটিয়ে পড়ছেন মায়ের পায়ে। কিন্তু এই ঘটনার পিছনে রহস্য কী? বিজ্ঞানমঞ্চের প্রতিনিধিরাই বা কী বলছে?
বিজ্ঞান মঞ্চের প্রতিনিধিদের বক্তব্য, প্রতিমার চোখ থেকে কখনই জল গড়িয়ে পড়তে পারে না। এর পিছনে নিশ্চয়ই কারও হাত রয়েছে। মুর্শিদাবাদের পশ্চিমবঙ্গ বিজ্ঞান মঞ্চর সম্পাদক সজল বিশ্বাস বলেন, গ্লিসারিন, কোন তেল রং, কোন জল জাতীয় তরল পদার্থের কারণে এমন ঘটনা ঘটতে পারে। চোখে এবং নাকের ওপরে তুলির অগ্রভাগ যদি ঠেকানো যায় তবে তা নাকের উপর দিয়ে এবং চোখ দিয়ে গড়িয়ে পড়ে। এক্ষেত্রেও তেমন কোনও ঘটনাই ঘটেছে বলে মনে করেন বিজ্ঞান মঞ্চের প্রতিনিধিরা।
বিজ্ঞান মঞ্চের প্রতিনিধিদের এই দাবির পরই দেখা যায় অন্য চিত্র। তাঁদের ব্যাখ্যা শোনা পর মন্দির চত্বর ক্রমশ ফাঁকা হতে শুরু করে। ভক্তরা চলে যেতে থাকেন। হালকা হতে শুরু করে ভিড়। অনেকেই বিষয়টি বুঝতে পেরে কান্না থামিয়ে উঠে পড়েন। চোখের জল মুছে বাড়ির দিকে চলে যান অনেকে।