কলকাতা: যেন এলেন, দেখলেন, জয় করলেন। তিনি যে জিতবেন তা একপ্রকার জানাই ছিল। শুধু সীলমোহর পড়া বাকি ছিল। আজ সেটাও হয়ে গেল। কলকাতা শহর পেল ‘বন্দ্যোপাধ্যায়’ পরিবারের আরও এক জনপ্রতিনিধি। মমতা এবং অভিষেকের পর এবার রাজনীতির ময়দানে পাকা হয়ে গেলেন মমতার ভাতৃবধূ কাজরী বন্দ্যোপাধ্যায়। ৬ হাজার ৪৯৫ টি ভোটে জয়ী হয়েছেন মুখ্যমন্ত্রীর ভাইয়ের বউ।
তৃণমূল কংগ্রেস যখন পুরভোটের প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করেছিল তখন সেই তালিকায় কাজরীর নাম দেখে অনেকে অবাক হয়েছিল। বিতর্ক আরও বেশি সৃষ্টি হয় যখন টিকিট না পেয়ে ‘বিদ্রোহী’ হয়ে ওই ওয়ার্ডের বিদায়ী কাউন্সিলর রতন মালাকার নির্দল হিসেবে মনোনয়ন দাখিল করেন। তবে পরবর্তী ক্ষেত্রে সেই সমস্যা কেটে যায় কারণ রতন নিজের মনোনয়ন প্রত্যাহার করে নেন। ফলে কাজরীর জয়লাভে আর সেইভাবে কোনও বাধা ছিল না। শেষমেষ জিতলেন তিনি। উল্লেখ্য, কাজরীর মনোনয়ন দাখিলের পর শুরু হয় সমালোচনা। ভোটের হলফনামায় দাখিল করা তাঁর সম্পত্তির পরিমাণ নিয়ে প্রশ্ন তোলেন বিরোধীরা। তবে সেই বিতর্ক এখন আর বাড়বে না বলেই মনে হয়। কারণ বিপুল ব্যবধানে পুরভোট জেতার মুখে তৃণমূল।
প্রসঙ্গত, ১৯৮৪ সালে মমতা প্রথমবার যাদবপুর থেকে লোকসভা ভোটে কংগ্রেসের প্রার্থী হয়ে সিপিএমের সোমনাথ চট্টোপাধ্যায়কে পরাস্ত করে শুরু করেছিলেন তাঁর রাজনৈতিক জীবন। তার ঠিক ৩০ বছর পর লোকসভা ভোটে ডায়মন্ডহারবার থেকে ভোটে দাঁড়ান মুখ্যমন্ত্রীর ভাইপো অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। ২০১৯ সালে তিনি দ্বিতীয় বার জিতে সাংসদ হয়েছেন। তিনি ছিলেন ‘দ্বিতীয়’ বন্দ্যোপাধ্যায়। আর এবার ২০২১ সালের কলকাতা পুরভোটে রাজনৈতিক ভাবে ‘বন্দ্যোপাধ্যায়’ পরিবারের তৃতীয় সদস্য হিসেবে স্বীকৃতি পেলেন কাজরী।