কলকাতা: ২০০ আসন নিয়ে বাংলায় ক্ষমতা দখল করতে চলেছে বিজেপি, এমন দাবি বিধানসভা নির্বাচনের অনেক আগে থেকেই করে আসছিল গেরুয়া নেতৃত্ব। কিন্তু বাস্তব চিত্রটা একেবারেই বদলে গিয়েছে। ২০০ তো দূর, ১০০ আসনেরও ধারে কাছে যেতে পারেনি বিজেপি। কার্যত বিপর্যস্ত হয়েছে তারা বাংলায়। এই প্রেক্ষিতে মনে করা হচ্ছে পদ খোয়াতে পারেন বাংলার বিজেপির কেন্দ্রীয় পর্যবেক্ষক কৈলাস বিজয়বর্গীয়। তাদের তরফ থেকে এই বিষয়ে এখনো পর্যন্ত মন্তব্য না করা হলেও ইতিমধ্যেই এই নিয়ে জল্পনা তৈরি হয়েছে।
বেশ কয়েক বছর ধরে বাংলার কেন্দ্রীয় পর্যবেক্ষক থাকার পরেও কৈলাস বিজয়বর্গীয়র নেতৃত্বে ২০২১ বিধানসভা নির্বাচনের একেবারেই আশানুরূপ ফল করতে পারেনি বিজেপি। এমনকি লোকসভা নির্বাচনে বিজেপি যা ফল করেছিল, তার প্রেক্ষিতে ও খারাপ ফল করেছে তারা বিধানসভা নির্বাচনে। তাই মনে করা হচ্ছে কৈলাস বিজয়বর্গীয় খুব স্বাভাবিক ভাবেই নিজের পদ হারাতে পারেন। কারণ সার্বিকভাবে তিনি চূড়ান্ত ব্যর্থ হয়েছেন। তবে কৈলাস বিজয়বর্গীয় চলে গেলে তাঁর জায়গায় বিজেপির কেন্দ্রীয় পর্যবেক্ষক কে হবেন সেই নিয়ে ইতিমধ্যেই প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। এই প্রেক্ষিতে শোনা যাচ্ছে, রাজস্থানের নেতা তথা রাজ্যসভার সাংসদ ভূপেন্দ্র যাদব এবং পঞ্জাবের তরুণ নেতা তথা বিজেপির তরুণতম সাধারণ সম্পাদক তরুণ চুঘের নাম। অনেকে আবার মনে করছেন এই পদে আসতে পারেন স্মৃতি ইরানিও! যদিও তাঁর আসার সম্ভাবনা কম কারণ তিনি কেন্দ্রীয় মন্ত্রী।
বিধানসভা নির্বাচনের আগে প্রচুর তৃণমূল কংগ্রেস নেতাকে দলে নিয়েছিল বিজেপি। প্রথম থেকেই মনে করা হচ্ছিল যে, এই সিদ্ধান্ত ব্যুমেরাং হতে পারে তাঁদের জন্য। আদতে নির্বাচনে হলও তাই। এই ইস্যু নিয়ে দলের অন্দরে প্রথম থেকে দ্বিমত ছিল, কিন্তু তাকে গুরুত্ব দেয়নি বিজেপি নেতৃত্ব। এতে কৈলাস বিজয়বর্গীয়র ওপরও যে দায় বর্তায় তা বলায় বাহুল্য। তাই অবশ্যভাবে তাঁকে নিয়ে যে আলাদা করে ভাববে বিজেপি তা একেবারেই স্পষ্ট।