নিজস্ব সংবাদদাতা, বারাসত: ‘তৃণমূলের দুর্নীতি’ তুলে ধরতে ‘দুয়ারে দুয়ারে সরকারে’র পাল্টা কর্মসূচি ‘আর নয় অন্যায়’ প্রকল্প নিয়ে ময়দানে নামল বিজেপি। শনিবার বারাসাতে এই অভিযান নিয়ে কৈলাস বিজয়বর্গীয়র নেতৃত্বে ঘরে ঘরে পৌঁছে যাওয়ার জন্য শুরু হল বিজেপির ‘ঘর ঘর সম্পর্ক’ কর্মসূচি৷ এদিন বারাসতের কামাখ্যা মন্দির থেকে বিজেপি নেতা কৈলাস বিজয়বর্গীয় জনসংযোগ বাড়িয়ে তৃণমূলের ‘দুর্নীতি’ তুলে ধরতে নাগরিকদের দরজায় পৌঁছে যেতে অভিযান শুরু করেন৷ তাঁর আগে সাংবাদিক সম্মেলন করেন কৈলাস৷ সেখানে তৃণমূলকে তুলোধনা করেন তিনি৷
দেশের কৃষকদের আন্দোলন নিয়ে প্রশ্ন করতেই কৈলাস বলেন, দেশের মধ্যে কৃষকদের সবথেকে খারাপ অবস্থা পশ্চিমবঙ্গে৷ এখানে সিন্ডিকেটরাজ চলছে৷ পশ্চিমবঙ্গে সবথেকে বেশি শোষিত কৃষকেরা৷ একইসঙ্গে এদিন তাঁকে বিজেপি সাংসদ শান্তনু ঠাকুরকে নিয়ে প্রশ্ন করা হলে নীরব থাকেন কৈলাস৷ নাগরিকত্ব আইন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, বিজেপি সরকার যেটা প্রতিশ্রুতি দেয় সেটাই করে৷ সম্ভবত একুশের গোড়া থেকেই লাগু হয়ে যাবে এই আইন৷ব প্রসঙ্গত, কিছুদিন আগে মতুয়াদের সভা থেকে বিজেপি সাংসদ শান্তনু ঠাকুরের গলায় উল্টো সুর শোনা যায়৷ নাগরিকত্ব আইন লাগু না হওয়ায় তিনি ও তাদের মতুয়া সম্প্রদায় যে বিজেপির ওপর ক্ষুব্ধ তা তাঁর বক্তব্য থেকে স্পষ্ট বোঝা যায়৷
এদিন কৈলাস আরও বলেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় পশ্চিমবঙ্গকে সোনার বাংলা বানাতে ব্যর্থ হয়েছেন৷ জনতা তাকে দুবার আশির্বাদ করলেও সোনার বাংলা বানাতে পারেননি তিনি৷ এমন বাংলা বানিয়েছেন, যেখানে বিদেশী পাচারকারীরা ঢুকে পড়ছে৷ এখানে দুর্গাপুজো আগে মহরমের অনুমতি পাওয়া যায় বলেও কটাক্ষ করেন কৈলাস৷ তাঁর দাবি, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়ের শাসনে ‘ভাইপো’র হাত ধরে বাংলায় কয়লা মাফিয়া, গরু পাচারকারী, সোনা মাফিয়াদের সংরক্ষণ করা হয়েছে৷