বিতর্কে ইতি টানতে ক্ষমা চাইলেন কবীর সুমন! বললেন, আর কার কার কাছে ক্ষমা চাইতে হবে

বিতর্কে ইতি টানতে ক্ষমা চাইলেন কবীর সুমন! বললেন, আর কার কার কাছে ক্ষমা চাইতে হবে

কলকাতা:  বিস্তর বিতর্কের পর ক্ষমা চেয়ে নিলেন কবীর সুমন৷ ফেসবুক পোস্টে ক্ষমা চেয়ে বিতর্কে ইতি টানতে চাইলেন তিনি৷ প্রসঙ্গত, শুক্রবার রাত থেকে সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি অডিয়ো রেকর্ডিং ভাইরাল হয়৷ একটি বাংলা নিউজ চ্যানেলের সাংবাদিকের সঙ্গে একটি ভারী পুরুষ কন্ঠের ফোনালাপের সেই রেকর্ডিং ঘিরেই সরগরম হয়ে ওঠে রাজ্য৷ ওই পুরুষ কন্ঠটি ছিল কবীর সুমনের৷ ওই অডিয়োটিতে সংশ্লিষ্ট সাংবাদিককে গালিগালাজ করতে শোনা যায় তাঁকে৷ এর পর থেকেই সমাজের বিভিন্ন স্তর থেকে প্রতিক্রিয়া আসতে শুরু করে৷ শুধু নামজাদা প্রতিষ্ঠিত ব্যক্তিরাই নয়, সমালোচনায় সরব হয়েছে সাধারণ মানুষও৷ নেটপাড়ায় শুরু হয় জোড় চর্চা৷ সেই বিতর্ক থামাতেই ক্ষমা চেয়ে নিলেন গায়ক৷ 

আরও পড়ুন- চলছে ইন্টার লকিংয়ের কাজ, বাতিল একাধিক দূরপাল্লার ট্রেন, দেখে নিন তালিকা

এ প্রসঙ্গে তৃণমূলের তরফে কোনও বার্তা দেওয়া না হলেও দলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ বলেন, ‘যে অডিওটি ঘুরছে, সেটি যদি কবীর সুমনেরই হয়, তাহলে তা অতি আপত্তিকর এবং তীব্র প্রতিবাদযোগ্য৷ এর জন্য ক্ষমা চাওয়া উচিত৷ না চাইলে ব্যবস্থা হওয়া উচিত৷ জনপ্রিয় গায়ক বা প্রতিভাধর বুদ্ধিজীবী হলেই এসব বলা যাবে, এটা হতে পারে না৷’ অন্যদিকে,   রাজ্য বিজেপি-র পক্ষ থেকে শনিবারই মুচিপাড়া থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করা হয় সুমনের বিরুদ্ধে। ঘটনাচক্রে, এর পরই এই ফেসবুক পোস্টটি করেন সুমন। ওই পোস্টে তিনি লিখেছেন, ‘ভেবে দেখলাম সে দিন টেলিফোনে এক সহনাগরিককে যে গাল দিয়েছিলাম, সেটা সুশীল সমাজের নিরিখে গর্হিত কাজ। এতে কাজের কাজ কিছু হল না, মাঝখান থেকে অনেকে রেগে গেলেন, উত্তেজিত হলেন। এমনিতেই করোনার উৎপাত তার উপর ফোনে গালমন্দ—লাভ কী। তাই আমি সহনাগরিকের কাছে, বিজেপি আরএসএস-এর কাছে এবং বাঙালিদের কাছে ক্ষমাপ্রার্থনা করছি।’ অথচ শনিবার তিনি জানিয়েছিলেন, তিনি যা করেছেন প্রয়োজনে আবারও করবেন৷ এর কিছুক্ষণের মধ্যেই ভোলবদল তাঁর? 

তাঁর বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দায়ের প্রসঙ্গে কবীর সুমন লেখেন, ‘আইনরক্ষীরা নিশ্চিন্ত থাকুন। আমি চেষ্টা করব সব ব্যাপারে একদম চুপ থাকতে। আর কোন কোন ব্যাপারে কে কে আমার কাছে ক্ষমাপ্রার্থনা দাবি করছেন বা করবেন বলে ভাবছেন দয়া করে একটি তালিকা বানিয়ে ডাকযোগ পাঠান। আমি নতমস্তকে সম্মতিসূচক সই করে দেব।’ সেই সঙ্গে তিনি এটাও উল্লেখ করেন, ‘আপনাদের যদি ভাবতে ভাল লাগে যে আমি খুব ভয় পেয়ে এটা লিখছি, তো তাইই ভাবুন। যেটা ভাবলে আপনাদের মন ভাল হয়ে ওঠে সেটাই ভাবুন।’

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

ten + fifteen =