কলকাতা: গান গাইলেন কবীর সুমন। তবে এটি কোন সিনেমা বা অ্যালবামের জন্য নয়। একেবারে রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে! না, আক্ষরিক অর্থে এটিকে গান বলাও যাবে না। কারণ এটি রবীন্দ্রসঙ্গীতের প্যারোডি। দলবদলের আবহে হঠাৎ করেই যেন বিদ্রোহী হয়ে উঠলেন কবীর সুমন। তবে গান গেয়ে বিঁধলেন কাদের, গানটা শোনার পর বুঝতে খুব একটা অসুবিধা হবে না।
‘দল ছাড়িলাম চুরি করি/ আবার লইব পকেটও ভরি/ পকেটও ভরি… বিজেপি ধরি’, রবীন্দ্র সংগীত ‘জাগরণে যায় বিভাবরী’র সুরে এই প্যারোডি সঙ্গীত গাইলেন একদা তৃণমূল কংগ্রেস সাংসদ কবীর সুমন। ২৬ সেকেন্ডের এই গানের ভিডিও নিজেই নিজের সোশ্যাল মিডিয়ায় পেজে শেয়ার করেছেন তিনি। যার পর কার্যত আলোড়ন পড়েছে রাজ্য রাজনৈতিক মহলে। বরাবরই স্পষ্টভাষী হিসেবে পরিচিত কবীর সুমন। এখন নিজের সেই পুরনো বিদ্রোহী সত্ত্বা ফিরিয়ে এনে দলবদলের আবহে বাংলার রাজনৈতিক মহলের উত্তাপ আরো বেশ কিছুটা বাড়িয়ে দিয়েছেন তিনি। এতদিনে তৃণমূল কংগ্রেস ছেড়ে কতজন এবং কারা কারা বিজেপিতে যোগদান দিয়েছিলেন তা সকলেই জানেন। এবার কবীর সুমন এই গান করে আদতে কাদের কাদের ব্যঙ্গাত্মকভাবে আক্রমণ করলেন তা বোঝা খুব একটা কঠিন ব্যাপার নয়।
প্রাক্তন তৃণমূল কংগ্রেস সাংসদ কবীর সুমনের সঙ্গে তৃণমূল সুপ্রিমো তথা বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের রাজনৈতিক এবং ব্যক্তিগত সখ্যের শুরু সিঙ্গুর-নন্দীগ্রাম আন্দোলনের সময় থেকে। সে সময় তৃণমূলের ব্যানারের তলায় না দাঁড়ালেও, ২০০৯ সালের লোকসভা ভোটে যাদবপুর কেন্দ্রে তৃণমূল প্রার্থী হন কবীর সুমন।নির্বাচনে জেতেনও। ওই সময় তৃণমূল বাম-কংগ্রেসের ঘর ভাঙাতে উঠেপড়ে লেগেছিল৷ কিন্তু, তখন কেন নীরব ছিলেন সুমন? এই প্রশ্ন এখন উঠতে শুরু করেছে। ঠিক যে অস্ত্রে তৃণমূল বিরোধী শক্তি ভেঙেছে, এখন সেই অস্ত্রেই জেরবার তৃণমূল৷ তবে এখন কেন সুমন বিদ্রোহী হয়ে উঠলেন? আর চুরি করা নেতাদের কেন এতদিন আশ্রয় দিল তৃণমূল? এখন এই প্রশ্ন করতেই পারে বিরোধীরা।