কলকাতা: ফোনে আড়ি পাতা কাণ্ডে উত্তাল গোটা দেশ৷ সুপ্রিমকোর্টের বিচারপতি থেকে, সাংবাদিক, শিল্পপতি এমনকী রাজনৈতিক নেতাদের ফোনে অজান্তেই ঢুকে গিয়েছে পেগাসাস৷ এই ঘটনায় একযোগে মোদী সরকারের বিরুদ্ধে আঙুল তুলেছেন বিরোধীরা৷ ফোন ট্যাপ হওয়ার ভয়ে স্মার্টফোনের ক্যামেরায় সেলোটেপ লাগিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী৷ সেই সঙ্গে সকলকে সতর্কও করে দেন তিনি৷ সেই সতর্কতা বানী মেনেই এবার স্মার্টফোন ত্যাগ করলেন রাজ্যের বনমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক৷ বদলে হাতে তুলে নিয়েছেন পুরনো বোতাম টেপা ফোন৷
জানা গিয়েছে এক সঙ্গে পাঁচটি স্মার্টফোন ব্যবহার করতেন বনমন্ত্রী৷ কিন্তু ফোন ট্যাপ হওয়ার ভয়ে সবকটিই ত্যাগ করেছেন৷ শুধু তাই নয়, ত্যাগ করেছেন হোয়াটসঅ্যাপও৷ বদলে এবার থেকে চিঠির মাধ্যমেই তথ্য আদানপ্রদান করবেন বলে জানিয়েছেন জ্যোতিপ্রিয়বাবু৷ অন্যদিকে, পেগাসাস কাণ্ডে উত্তাল হয়ে উঠেছে বাদল অধিবেশন৷ ফোনে আড়িপাতা কাণ্ডে কাঠগড়ায় তোলা হয়েছে প্রধানমন্ত্রী ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে৷ এই ঘটনায় নিরপেক্ষ তদন্তের দাবিতে সুপ্রিম কোর্টে একাধিক মামলা জমা পড়েছে৷ দিল্লি যাওয়ার আগে ক্যাবিনেট বৈঠক ডেকে রাজ্যে তদন্ত কমিশন গঠন করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও৷ এ বিষয়ে তৃণমূল যে পিছু হটার পাত্র নয় তা স্পষ্ট করে দিয়েছেন দলনেত্রী৷
গত ২২ জুলাই মন্ত্রিসভার বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী বলেছিলেন, যত বেশি আধুনিক ফোন, তত বেশি বিপদ৷ তাই সকলকে সাবধান থাকতে হবে৷ যে কোনও সময় আপনাদের ফোন ট্যাপ হতে পারে৷ এর পরেই স্মার্টফোন ত্যাগ করেন বনমন্ত্রী৷ উল্লেখ্য, একুশের মঞ্চ থেকেও পেগাসাস নিয়ে সুর চড়িয়েছিলেন মমতা৷ বলেছিলেন, আমার ফোন ট্যাপ৷ চাইলেও বিরোধী দলের নেতাদের সঙ্গে কথা বলতে পারছি না৷ এর পরেই দিল্লি সফরে যান মমতা৷