কালো টাকা সাদা করার একটি সংস্থা সম্পর্কে মুখ খুলেছেন জ্যোতিপ্রিয় কন্যা? জল্পনা তুঙ্গে

কালো টাকা সাদা করার একটি সংস্থা সম্পর্কে মুখ খুলেছেন জ্যোতিপ্রিয় কন্যা? জল্পনা তুঙ্গে

jyotipriya

নিজস্ব প্রতিনিধি: রেশন দুর্নীতি মামলায় ধৃত বনমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের মেয়ে প্রিয়দর্শিনী মল্লিককে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ইডি দফতরে শীঘ্রই ডাকা হবে বলে খবর। তবে আগেই নাকি তাঁকে একদফা জিজ্ঞাসাবাদ করেছিলেন তদন্তকারীরা। সূত্র মারফত এ খবর জানা গিয়েছে। আর সেই জিজ্ঞাসাবাদে চাঞ্চল্যকর তথ্য হাতে পেয়েছেন ইডি আধিকারিকরা, এমনটাই জানা যাচ্ছে। জানা গিয়েছে যে সমস্ত সংস্থার মাধ্যমে কালো টাকা সাদা করা হতো, তাদের সঙ্গে যোগাযোগ ছিল জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের। এ বিষয়ে জ্যোতিপ্রিয়ের মেয়েকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছিল আগে, এবং তার ভিত্তিতেই ইডি এমনটা জানতে পেরেছে বলে দাবি উঠেছে। ইডির দাবি জিজ্ঞাসাবাদে মন্ত্রী কন্যা স্বীকার করেছেন যে, তিনি যখন ডক্টরেট করছিলেন তখন সেই সমস্ত সংস্থার তৈরি নথি তিনি দেখেছিলেন। যদিও মন্ত্রীর দাবি এই সমস্ত সংস্থার সঙ্গে তাঁর কোনও দিনই যোগাযোগ ছিল না।

যদিও বিষয়টি নিয়ে প্রকাশ্যে কোনও পক্ষ থেকে মুখ খোলা হয়নি। এর আগে এক রাইস মিল মালিককে জেরা করে ইডি জানতে পারে তিনটি ভুয়ো সংস্থা তৈরি করা হয়েছিল, যেখানে মন্ত্রীর স্ত্রী, মেয়ে এবং এক পরিচারককে ডিরেক্টর করা হয়। মন্ত্রীর প্রাক্তন আপ্তসহায়ক অভিজিৎ দাস সেটা করেছিলেন। মন্ত্রীর পরামর্শেই সেটা করতে তিনি বাধ্য হয়েছিলেন বলে ইডি মনে করছে। যদিও ধৃত প্রাক্তন খাদ্যমন্ত্রীর দাবি সমস্ত কাজটাই করেছেন অভিজিৎ দাস। এ  ব্যাপারে তিনি কিছুই নাকি জানেন না। এভাবেই রেশন দুর্নীতির যাবতীয় দায় অভিজিতের ঘাড়েই চাপাতে চাইছেন জ্যোতিপ্রিয়, এমনটাই মনে করা হচ্ছে। উল্লেখ্য ১৩ নভেম্বর পর্যন্ত ইডি হেফাজতে থাকবেন জ্যোতিপ্রিয়। তাই তাঁকে জেরা করে এ বিষয়ে আরও তথ্য সামনে আসবে বলে তদন্তকারীরা নিশ্চিত।

এদিকে মন্ত্রীর কন্যা ও স্ত্রীকে ইডি দফতরে ডেকে ফের জিজ্ঞাসাবাদ করা হতে পারে বলে একটি সূত্রে জানা যাচ্ছে। কারণ ইডি মন্ত্রীর প্রাক্তন আপ্তসহায়ককে জিজ্ঞাসাবাদ করে জানতে পেরেছে স্ত্রী এবং মেয়েকে দিয়ে সই করিয়ে ভুয়ো কোম্পানি তৈরি করে তাঁদের ডিরেক্টর করেছিলেন জ্যোতিপ্রিয়। শুধু তাই নয়, মন্ত্রী পত্নীর সম্পত্তি মাত্র এক বছরের মধ্যে ৪৫ হাজার টাকা থেকে কীভাবে বেড়ে ছয় কোটি টাকা হয়েছে তা দেখে বিস্মিত তদন্তকারীরা। এই পরিস্থিতিতে মন্ত্রী কন্যার বয়ানের ভিত্তিতে ইডি যে দাবি করছে তা অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করা হচ্ছে। তবে তদন্ত যত এগোচ্ছে ইডি বুঝতে পারছে সমস্ত দুর্নীতির অভিযোগ গা থেকে ঝেড়ে ফেলতে চাইছেন মন্ত্রী। প্রাক্তন আপ্তসহায়ক বা অন্যান্যদের দিকে অভিযোগের আঙুল তুলে মুক্ত হতে চাইছেন তিনি। ‌ তবে সে কাজে তিনি কতটা সফল হবেন তা নিয়ে প্রশ্ন থেকেই যাচ্ছে। সূত্রের খবর, ইডির কাছে এমন তথ্য প্রমাণ আছে যা খণ্ডন করা মন্ত্রীর পক্ষে বেশ কঠিন হবে। তাই রেশন দুর্নীতি মামলায় আরও চমক অপেক্ষা করছে এ কথা বলাই যায়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

18 − two =