রেশন দুর্নীতি মামলায় এবার ডাকা হতে পারে জ্যোতিপ্রিয়ের স্ত্রী-কন্যাকে!

রেশন দুর্নীতি মামলায় এবার ডাকা হতে পারে জ্যোতিপ্রিয়ের স্ত্রী-কন্যাকে!

jyotipriya

নিজস্ব প্রতিনিধি:  শীঘ্রই কী সল্টলেকের সিজিও কমপ্লেক্সে দেখা যেতে পারে জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের স্ত্রী ও কন্যাকে? কারণ রেশন দুর্নীতি মামলায় এবার জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ডাকা হতে পারে ধৃত বনমন্ত্রীর স্ত্রী মণিদীপা মল্লিক এবং কন্যা প্রিয়দর্শিনী মল্লিককে। ইডি সূত্রে এ খবর জানা গিয়েছে। রেশন দুর্নীতি মামলায় ধৃত প্রাক্তন খাদ্যমন্ত্রী ও বর্তমান বনমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের ইডি হেফাজতের মেয়াদ বৃদ্ধি পেয়েছে। গোটা দুর্নীতি কাণ্ডে বেশ কয়েকজনকে জেরা করেছেন তদন্তকারীরা। যাদের মধ্যে রয়েছেন মন্ত্রীর প্রাক্তন ও বর্তমান আপ্তসহায়ক-সহ বেশ কয়েক জন রাইস মিল ও ফ্লাওয়ার মিলের মালিক। প্রতিদিনই বিভিন্ন জায়গায় তল্লাশি ও সন্দেহভাজনদের জেরা পর্ব চলছে। উঠে আসছে নানা চাঞ্চল্যকর তথ্য। এই আবহের মধ্যে মন্ত্রীর স্ত্রী ও কন্যাকে যেভাবে ডেকে পাঠানোর কথা শোনা গেল, তা যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করা হচ্ছে। জানা গিয়েছে কয়েকদিনের মধ্যেই সল্টলেকের সিজিও কমপ্লেক্সে ইডি দফতরে ডাকা হতে পারে তাঁদের।

কি কারণে তাঁদের জিজ্ঞাসাবাদ করতে চান তদন্তকারীরা? সূত্রের খবর, মন্ত্রীর প্রাক্তন এক আপ্তসহায়ক জেরায় জানিয়েছেন, স্ত্রী এবং মেয়েকে দিয়ে সই করিয়ে ভুয়ো কোম্পানির ডিরেক্টর করেছিলেন জ্যোতিপ্রিয়। শুধু তাই নয়, মন্ত্রী পত্নীর সম্পত্তি মাত্র এক বছরের মধ্যে ৪৫ হাজার টাকা থেকে বেড়ে কীভাবে ৬ কোটি টাকা হয়েছে তা দেখে হতবাক তদন্তকারীরা। ঘটনা হল রেশন দুর্নীতি মামলায় ব্যবসায়ী বাকিবুর রহমান গ্রেফতার হওয়ার পরই জ্যোতিপ্রিয়ের নাম প্রকাশ্যে আসে। সেই সূত্রে তদন্ত চালিয়ে জ্যোতিপ্রিয়ের স্ত্রী এবং কন্যার নামও উঠে আসে। সেই সময় মন্ত্রীর স্ত্রী-কন্যার ব্যাঙ্কের লকারের চাবি বাজেয়াপ্ত করেন ইডি আধিকারিকরা। লকারে কি কি রয়েছে তা জানার চেষ্টা করছেন তদন্তকারীরা।

এর পাশাপাশি তদন্তকারীরা জানতে পেরেছেন স্ত্রী-কন্যার পাশাপাশি পরিচারক-সহ অন্যান্যদের নামে  বহু সম্পত্তি কিনে বকলমে সেগুলির মালিক হয়েছেন জ্যোতিপ্রিয়। তদন্তকারীরা জানতে পারেন গ্রেসিয়াস ক্রিয়েশন প্রাইভেট লিমিটেড, গ্রেসিয়াস ইনোভেশন প্রাইভেট লিমিটেড এবং শ্রী হনুমান রিয়েলকন প্রাইভেট লিমিটেড নামে তিনটি সংস্থার সঙ্গে জ্যোতিপ্রিয়ের স্ত্রী-কন্যার পাশাপাশি একাধিক ব্যক্তির প্রত্যক্ষ সম্পর্ক রয়েছে। তাঁদের সামনে রেখেই কালো টাকা সাদা করা হয়েছে বলে নিশ্চিত ইডি। এই সব বিষয় নিয়ে আরও তথ্যের খোঁজেই এবার মন্ত্রীর স্ত্রী ও কন্যাকে ডেকে শীঘ্রই জিজ্ঞাসাবাদ করতে চলেছেন ইডি আধিকারিকরা। তাই আগামীদিনে রেশন দুর্নীতি মামলা কোন দিকে যায় সেটাই এখন দেখার।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

6 − 3 =