নিজস্ব সংবাদদাতা, বসিরহাট: বাবুমাস্টারের ওপর হামলার ঘটনায় তীব্র নিন্দায় সরব হয়েছে বিজেপি৷ বাবু মাষ্টারের উপর আক্রমনে সরাসরি তৃণমূল ও রাজ্য পুলিশের দিকে আঙুল তুলনেন ব্যারাকপুরের সাংসদ অর্জুন সিং৷ টেনে আনলেন মনীশ শুল্কা খুনের প্রসঙ্গ৷ এদিন বিজেপি নেতা মনীশ শুক্লা খুনের প্রসঙ্গ টেনে অর্জুন বলেন ওই ঘটনায় পুলিশ যে ভাবে দুষ্কৃতীদের সাহায্য করেছিল। বাবু মাষ্টারের ক্ষেত্রেও সেই কাজ করেছে পুলিশ।
পাশাপাশি এদিন বিস্ফোরক অভিযোগ করেন অর্জুন সিং৷ তিনি বললেন খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক, শেখ শাহাজাহান সহ স্থানীয় তৃনমূল নেতাদের নির্দেশেই এই হামলা হয়েছে৷ তারা এই ঘটনার সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে জড়িত৷ আরও দাবি করেন বাবু মাষ্টারের এরফে ফিরাজ কামাল গাজী তাকে কয়েকদিন আগেই জানিয়েছিলেন তারা কাছে নানান হুমকির ফোন আসছে। এমনকি তাকে খুনের হুমকিও দেওয়া হচ্ছে। অর্থাৎ পূর্ব পরিকল্পনা মতনই তার উপর হামলা চালানো হচ্ছে।
এদিকে এদিন বাবুমাস্টারের ওপর হামলার প্রতিবাদে মিনাখাঁ থানার সামনে বিক্ষোভ দেখায় বিজেপি৷ তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দেওয়া ফিরোজ কামাল গাজির উপর হামলার প্রতিবাদে রবিবার উত্তাল মিনাখাঁ থানা চত্বর। এদিন বিজেপি কর্মীরা থানা ঘেরাও করেন। দফায় দফায় চলে বিক্ষোভ। আন্দোলনরত বিজেপি কর্মীদের নিয়ন্ত্রণ করতে পুলিশকে হিমশিম খেতে হয়।
বসিরহাটে দলীয় কর্মসূচি সেরে কলকাতার় বাড়ি ফেরার পথে মিনাখাঁ খ্রিস্টানপাড়ার মোড়ে দুষ্কৃতীরা বিজেপি নেতা ফিরোজ কামাল গাজি ওরফে বাবু মাস্টারের গাড়ি লক্ষ্য করে বোমাবাজি করে। ঘটনায় গুরুতরভাবে আহত হন বাবু মাস্টার। বর্তমানে তিনি কলকাতার একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। ঘটনার পর তৃণমূলের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলে রবিবার মিনাখা থানার সামনে বিক্ষোভ দেখালেন কয়েকশো বিজেপি কর্মী-সমর্থক। বিক্ষোভকারী বিজেপি কর্মীরা থানার ভিতরে ঢোকার চেষ্টা করেন। পুলিশ ব্যারিকেড দিয়ে বিজেপি কর্মীদের আটকে দেয়। বেশ কিছুক্ষণ ধরে ব্যারিকেড নিয়ে পুলিশের সঙ্গে বিজেপি কর্মীদের ঠেলাঠেলি হয়। থানার সামনে বিক্ষোভ দেখানোর পর মিনাখাঁ থানার ওসির কাছে বিজেপি কর্মীরা একটি স্মারকলিপি জমা দেন। তাঁরা বাবু মাস্টারের উপর হামলাকারী দুষ্কৃতীদের অবিলম্বে গ্রেপ্তারের দাবি জানান। পুলিশ দোষীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছে।