মালদা: মন্দা বাজারে বিমুখ আবহাওয়া। মিলছে না কৃষক বন্ধু প্রকল্পের সহায়তাও। স্বভাবতই মাথায় হাত পাট চাষিদের। এদিকে দরজায় কড়া নাড়ছে তৃতীয় ঢেউ। ফের আতঙ্কিত হচ্ছে সাধারণ মানুষ। তৃতীয় ঢেউ এর প্রভাব কেমন পড়বে, আবার লকডাউন হবে কি না এইসব নিয়ে শুরু হয়েছে ভাবনা, স্বাভাবিক ভাবেই এসবের প্রভাব পড়তে শুরু করেছে বাজারে। তারই জেরে মন্দা বাজার আরও মন্দা হয়েছে। তাই সরকারি সাহায্যের আর্জি জানিয়েছেন পাট চাষিরা৷
চাষিরা জানিয়েছে, গত কয়েকদিনে কুইন্টাল পিছু পাটের দাম কমে হয়েছে প্রায় তিন হাজার টাকা। গতবার ভাল দাম মেলায় এবার আরও বেশি করে পাট চাষ করেছিলেন চাষিরা। পাট উঠতে শুরু করেছে। কিন্তু হটাৎ করে দাম কমে যাওয়ায় মাথায় হাত পড়েছে মালদহের হরিশ্চন্দ্রপুরের পাট চাষিদের। মহাজনের কাছে ঋন, ধার দেনা করে পাট চাষ করেন অধিকাংশ চাষি। ফলে দাম আরও কমলে বড়সড় ক্ষতির মুখে পড়তে হবে চাষিদের।
করোনার জন্য জুট মিলে চাহিদা কমে যাওয়ায় পাটের দাম কমছে বলে কৃষি দফতর ও ব্যবসায়ীদের সূত্রে জানা গিয়েছে। এছাড়া বিপাকে পড়েছেন চড়া দামে পুরনো পাট মজুত করে রাখা ছোট-বড় ব্যবসায়ীদেরও অনেকেই। কৃষি দফতর ও চাষিদের সূত্রে জানা গিয়েছে, চাঁচল মহকুমার ৬টি ব্লকে ২২ হাজার হেক্টরে পাট চাষ হয়েছে। আগের তুলনায় চাষের খরচ অনেক বেড়েছে।
কিন্তু গত বছর ১০ হাজার টাকা ক্যুইন্টাল দাম মেলায় এবারে আরও বেশি করে পাট চাষের দিকে ঝুঁকেছিলেন চাষিরা। প্রতিটি ব্লকেই চাষ বেড়েছে দু থেকে আড়াই হাজার হেক্টর। অথচ দাম নেই৷ তার ওপর করোনার চোখ রাঙানি৷ এহেন পরিস্থিতিতে সরকারি সাহায্যের আর্জি জানাচ্ছেন চাষিরা৷ স্থানীয় বিধায়ক তজমুল হোসেন অবশ্য বলেন, পাট চাষিদের বিষয়টি ভেবে দেখা হচ্ছে৷ যাতে তাঁরা কিছু সাহায্য পান, তা নিয়ে সরকারিস্তরে জানানো হবে৷