নন্দীগ্রাম মামলা থেকে সরে দাঁড়ালেন বিচারপতি কৌশিক চন্দ, মমতাকে ৫ লক্ষ টাকা জরিমানা

নন্দীগ্রাম মামলা থেকে সরে দাঁড়ালেন বিচারপতি কৌশিক চন্দ, মমতাকে ৫ লক্ষ টাকা জরিমানা

কলকাতা: নন্দীগ্রাম মামলা থেকে সরে দাঁড়ালের বিচারপতি কৌশিক চন্দ৷ বিচারপতি কৌশিক চন্দের এজলাস থেকে মামলা সরানোর আবেদন জানিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷ ১৬ জুন ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি রাজেশ বিন্দালের কছে আবেদন জানিয়েছিলেন তিনি৷ এই মামলা থেকে সরে দাঁড়ানোর জন্য বিচারপতি কৌশিক চন্দের কাছেও আবেদন করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী ৷ গত ২৪ জুন এই মামলার শুনানি শেষ হয়৷

আরও পড়ুন- বাংলার কোভিড গ্রাফ আরও তলানিতে, ৯৮% ছুঁইছুঁই সুস্থতার হার

নন্দীগ্রামে ভোট গণমনায় কারচুপির আভিযোগে হাইকোর্টে ইলেকশন পিটিশন দায়ের করেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷ এই মামলা থেকে সরে দাঁড়ালেন বিচারপতি কৌশিক চন্দ৷ তিনি বলেন, মুখ্যমন্ত্রীর তরফে যে ইলেকশন পিটিশন করা হয়েছিল তিনি তা শুনবেন না৷ মুখ্যমন্ত্রী এজলাস বদলের যে আবেদন করেছিলেন, তাতে আজ সাড়া দেয় কলকাতা হাইকোর্ট৷ কৌশিক দন্দ জানান, অন্যান্য কারণ বশত এই মামলা থেকে তিনি সরে দাঁড়াচ্ছেন৷ পাশাপাশি এই মামলায় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ৫ লক্ষ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। এর কারণ হিসাবে বলা হয়েছে, মামলা চলার সময় তৃণমূলের একাধিক নেতা-মন্ত্রীর  ট্যুইটে বিচারপতির ভাবমূর্তি খণ্ডন করার চেষ্টা করা হয়েছে৷  

মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আইনজীবী অভিষেক মনু সিঙ্ঘভি মূলত দুটি বক্তব্য তুলে ধরেছিলেন৷ প্রথমত, বিচারপতি কৌশিক চন্দর সঙ্গে বিজেপি’র একটা যোগ রয়েছে বলে তিনি উল্লেখ করেছিলেন৷ সিঙ্ঘভি বলেন, বিচারপতি কৌশিক চন্দ বিজেপি’র হয়ে একাধিক মামলা লড়েছেন৷ কৌশিক চন্দের এজলাসে এই বিচারপর্ব চললে তিনি সুবিচার পাবেন বলে মনে করছেন না৷ যদিও তাঁর এই যুক্তি আজ খারিজ করে দিয়েছেন বিচারপতি ৷ তাঁর বক্তব্য, প্রত্যেক মানুষেরই একটি রাজনৈতিক দিক থাকে৷ তিনি কোনও বিশেষ দলকে পছন্দ করতেই পারেন৷ তবে সেটা সম্পূর্ণ ব্যক্তিগত বিষয়৷ একজন বিচারপতিও ভোটের সময় গণতান্ত্রিক অধিকার প্রয়োগ করে থাকেন৷ তা বলে কোনও বিচারপতি নির্দিষ্ট দলের হয়ে পক্ষপাতিত্ব করবেন, এই যুক্তি তিনি মানতে   নারাজ৷ তাঁর সাফ কথা, একটা সময় তিনি বিজেপি’র হয়ে মামলা করতে পারেন৷ তার মানে এই নয় বিচারপতি পদে শপথ নেওয়ার পরেও তাঁর একই রকম ধ্যান ধারণ থাকবে এবং তিনি পক্ষপাতিত্ব করবেন৷ 

আরও পড়ুন- সদ্য হারিয়েছেন স্ত্রীকে, মুকুলের বাড়িতে গিয়ে সান্ত্বনা দিলেন ‘দিদি’

অভিষেক মনু সিঙ্ঘভি আরও বলেছিলেন, তাঁদের আশঙ্কা বিচারপতি কৌশিক চন্দের এসলাসে শুনানি হলে তাঁরা সুবিচার পাবেন না৷ বিচারপতি পক্ষপাতিত্ব করতে পারেন৷ এই দাবিও খারিজ করেছেন বিচারপতি কৌশিক চন্দ৷ এর পরেই তিনি এই মামলা থেকে সরে দাঁড়ান৷ এখন এই মামলা ফিরত যাবে ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতির কাছে৷ সেখান থেকে অন্য কোনও বিচারপতির এজলাসে ফের শুরু হবে মুখ্যমন্ত্রীর ইলেকশন পিটিশনের শুনানি৷  
 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

three × one =