justice ganguly
কলকাতা: শিক্ষিকা হওয়ার যোগ্যতা নেই তাই তিনি চাকরি পাননি। এক চাকরিপ্রার্থীকে নিয়ে এমনটাই দাবি করেছিল প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ। কিন্তু খোদ চাকরিপ্রার্থীর দাবি তো অন্য। তিনি জানিয়েছেন, আদালতের নির্দেশে নম্বর বৃদ্ধি হলেও তিনি চাকরি পাচ্ছেন না। এই মামলায় এবার ব্যতিক্রমী নির্দেশ দিলেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। তিনি প্রার্থীর অ্যাপটিটিউড টেস্ট এবং ইন্টারভিউ প্রক্রিয়ার ভিডিয়ো দেখতে চাইলেন। এই নিয়ে পর্ষদকে কড়া নির্দেশ দিয়েছেন তিনি।
২০১৪ সালে টেট দিয়েছিলেন এই চাকরিপ্রার্থী। ওই বছরের টেটে ছ’টি প্রশ্ন ভুল ছিল। আদালতের নির্দেশে সেই নম্বর যোগ হয় তাঁর খাতাতেও। নম্বর বৃদ্ধির ফলে টেট পাশ করেন ওই প্রার্থী। কিন্তু অভিযোগ, তার পরেও তিনি চাকরি পাননি। সেই কারণে আদালতের দ্বারস্থ হন তিনি। এই মামলায় এবার তাঁর অ্যাপটিটিউড টেস্ট এবং ইন্টারভিউ প্রক্রিয়ার ভিডিয়ো দেখতে চাইলেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। আগামী ৮ সেপ্টেম্বর ওই ভিডিও আদালতে জমা দিতে হবে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদকে।
যদিও পর্ষদ দাবি করেছে, প্রার্থীর চাকরির উপযুক্ত মেধা নেই। অ্যাপটিটিউড টেস্ট এবং ইন্টারভিউয়ের মাধ্যমে পর্ষদ এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। কিন্তু বিচারপতি এই বিষয়টি নিয়ে নিশ্চিত হতে চাইছেন। সেই কারণেই তাঁর এই নির্দেশ। প্রসঙ্গত, টেট পাশের জন্য ন্যূনতম ৮২ নম্বর পেতে হয়। এই প্রার্থী নম্বর বৃদ্ধির পর ৮২-ই পেয়েছিলেন।