‘পরামর্শ’ দিলেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়, মন্ত্রমুগ্ধ হয়ে শুনলেন আইনজীবীরা

‘পরামর্শ’ দিলেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়, মন্ত্রমুগ্ধ হয়ে শুনলেন আইনজীবীরা

3dbdbb00e97c4f49629361e564d109c7

কলকাতা:  দুর্নীতির শিকড় সমূলে উপড়ে ফেলতে কঠিন পদক্ষেপ৷ একের পর এক এসএসসি দুর্নীতি মমলায় সিবিআই তদন্তের নির্দেশ৷ নেতা-মন্ত্রীদের হাজির করিয়েছেন সিবিআই-এর সামনে৷ তাঁর এই দৃঢ় পদক্ষেপই তাঁকে করে তুলেছে অনন্য৷ হয়ে উঠেছেন জনগণের বিচারপতি৷ তিনি অন্য কেউ নন, কলকাতা হাই কোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়৷ যিনি ভরা এজলাসে বলতে পারেন, “দুর্নীতি দেখলে আমি রুখে দাঁড়াবই। আমার মাথায় বন্দুক ঠেকালেও আমি থামব না।” সেই বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়কে সামনে থেকে পেয়ে আপ্লুত লকাতা হাইকোর্টের জলপাইগুড়ি সার্কিট  বেঞ্চের আইনজীবীরা৷ সেখানে নানা বিধ আইনি বিষয়ে পরামর্শ দিলেন তিনি। আর তা মন দিয়ে শুনলেন উপস্থিত আইনজীবীরা।

আরও পড়ুন- সারদা কাণ্ড: শুভেন্দুর বিরুদ্ধে থানায় মামলা, কেস ডায়েরি তলব হাইকোর্টের

১ অগাস্ট সোমবার থেকে জলপাইগুড়ি শহরে  শুরু হয়েছে কলকাতা হাইকোর্টের জলপাইগুড়ি সার্কিট বেঞ্চ। এবারের সার্কিট বেঞ্চের গুরুত্বই আলাদা৷ কারণ সেখানে অন্যান্য বিচারপতিদের সঙ্গে থাকছেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। বেঞ্চে যোগ দিতে রবিবারই জলপাইগুড়ি পৌঁছে গিয়েছেন তিনি। সোমবার সার্কিট বেঞ্চের শুনানি শেষ করে জলপাইগুড়ি জেলা আদালতে চলে আসেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়।  সেখান থেকে সোজা জলপাইগুড়ি বার অ্যাসোসিয়েশনের অফিসে পৌঁছন। সেখানে বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়কে বার অ্যাসোসিয়েশনের তরফে সংবর্ধনা দেওয়া হয়৷ এরপর নানা বিষয়ে উপস্থিতি আইনজীবীদের পরামর্শ দেন তিনি।

এদিন জুনিয়র আইনজীবীদের উৎসাহিত করতে বার অ্যাসোসিয়েশনের উদ্দেশে অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের পরামর্শ, “যেমন ধরুন কে রিট করতে পারে, কার বিরুদ্ধে রিট হয়। জুরিসডিকশনটা ঠিক কী। এইগুলো সব আদালতে চলে। ওঁরা সাহস করে যাতে হাইকোর্টে সওয়াল-জবাব করতে পারেন, সেগুলো আপনাদের একটু শিখিয়ে দিতে হবে। যেমন আমি একজনকে বললাম, কে সিনিয়র, কে জুনিয়র শুনব না। তোমাকেই বলতে হবে। ও একটা নোট লিখে এসেছিল। আমি বললাম এতে হবে না, তুমি যেটা জান, সেটা তোমাকে আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে বলতে হবে। খুব ভাল বলেছে। আমি খুব আনন্দিত৷ ও তৈরিই ছিল, শুধু আত্মবিশ্বাসের দরকার ছিল৷ সেটাই জুগিয়ে দিতে হবে।”

জলপাইগুড়ি বার অ্যাসোসিয়েশনের সম্পাদক বিপুল রায় বলেন, “আমাদের সঙ্গে অনেকক্ষণ ছিলেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়। আমরা সমস্ত আইনজীবীরা উপস্থিত ছিলাম। উনি আমাদের বেশ কিছু টিপস দিয়েছেন। ওঁর পরামর্শ পেয়ে আমরা খুবই উৎসাহিত। আমাদের বার অ্যাসোসিয়েশনে উনি প্রায় আধ ঘণ্টা ছিলেন। তারপর কোর্টে চলে যান। ওঁর কথা শোনার পর আমারা সকলে, বিশেষ করে জুনিয়র আইনজীবীরা খুবই উপকৃত হয়েছেন।”