কলকাতা: সমস্ত বেআইনি প্রার্থীরা তাঁদের চাকরি হারাবেন। প্রতারণার মাধ্যমে যারা চাকরি পেয়েছেন তাদের কোনও মতেই ছেড়ে দেওয়া হবে না। এমনই বার্তা দিয়েছেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। এই প্রেক্ষিতেই অবৈধ চাকরিপ্রার্থীদের ইস্তফা দেওয়ার ‘ডেডলাইন’ পর্যন্ত দিয়ে দিলেন তিনি। কড়া বার্তা দিয়ে জানান হয়েছে, যারা অবৈধভাবে চাকরি পেয়েছেন তারা যেন নিজে থেকে ইস্তফা দিয়ে দেন। আগামী ৭ নভেম্বরের মধ্যে তারা ইস্তফা দেবে বলেই প্রত্যাশা আদালতের। যদি তা না হয় তাহলে কড়া পদক্ষেপ।
আরও পড়ুন: নিয়োগ দুর্নীতির অঙ্ক ১৫০ কোটি ছাড়িয়েছে! দাবি ইডির, পার্থর জামিনের বিরোধিতা
এদিন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় জানিয়েছেন, বেআইনি প্রার্থীরা যদি নিজে ইস্তফা দেন তাহলে ভাল, আদালত কোনও পদক্ষেপ করবে না। কিন্তু যদি তা না করেন কেউ তাহলে আদালত অন্যভাবে এই বিষয়ে ব্যবস্থা নেবে। তাঁদের চাকরি থেকে বরখাস্ত করা হবে। এমনকি, ভবিষ্যতে তাঁরা যাতে কোনও সরকারি চাকরি করতে না পারেন সেই ব্যবস্থাও করা হবে। আপাতত মামলার নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত কোনও সরকারি চাকরির আবেদনও করা যাবে না। এই বিষয়ে ‘সেই একজনের’ নাম জানতে চেয়েছেন বিচারপতি। তাঁর সরাসরি প্রশ্ন গ্রেফতার হওয়ার সুবীরেশ ভট্টাচার্যের কাছে। কার নির্দেশে এই দুর্নীতি হয়েছে তা জানতে চায় আদালত।
কলকাতা হাইকোর্টের বক্তব্য, যারা দুর্নীতির মাধ্যমে চাকরি পেয়েছেন তারা নিজেরাই জানেন। হয়তো তারা চাকরি কিনেছেন বা অন্য কোনও মাধ্যমে পেয়েছেন। তারা নিজের পদ থেকে ইস্তফা দেবেন। ইস্তফা দিলে সেই পদ শূন্য বলে ধরা হবে। এই প্রেক্ষিতে কমিশনকে নিশ্চিত করতে হবে সাদা খাতায় ৫-৬টি প্রশ্নের উত্তর দিয়েও চাকরি মিলেছে কিনা।