শুধু বাংলা নয়, বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় এখন পড়শি রাজ্যেরও ‘ভগবান’, আশায় বুক বেঁধেছেন শিক্ষক- শিক্ষিকারা

শুধু বাংলা নয়, বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় এখন পড়শি রাজ্যেরও ‘ভগবান’, আশায় বুক বেঁধেছেন শিক্ষক- শিক্ষিকারা

কলকাতা: সেই ২০১৬ সাল থেকে এজলাসে এজলাসে ঘুরছে মামলা৷ কিন্তু কোনও সুরাহা পাননি মামলাকারীরা৷ এতদিন সেই মামলা ঘুরতে ঘুরতে এসেছে বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের এজলাসে৷ তাঁর এজলাসে মামলা উঠতেই আশায় বুক বেঁধেছেন ইসিএল পরিচালিত স্কুলের শিক্ষক-শিক্ষিকারা৷

ইসিএল পরিচালিত মোট স্কুলের সংখ্যা ১০৫৷ এরমধ্যে ৯৬টি রয়েছে বাংলায়। বাকি ন’টি ঝাড়খণ্ডে। সেই স্কুলের শিক্ষক-শিক্ষিকাদের বক্তব্য, নিয়োগপত্রে বেতনবৃদ্ধির কথা উল্লেখ থাকলেও কিছুই করা হয়নি। বেতন কাঠামো অনুযায়ী এই স্কুলের মাধ্যমিক বা ম্যাট্রিক পাশ শিক্ষকরা পাবেন ৫ হাজার টাকা, স্নাতক হলে পাবেন ৫৫০০ টাকা আর বিএড পাশ করা থাকলে পাবেন মাসিক ৭ হাজার টাকা। শিক্ষক-শিক্ষিকাদের অভিযোগ, নিয়োগের সময়ে বেতনবৃদ্ধি-সহ অবসরকালীন সুবিধার কথা বলা থাকলেও, তা দেওয়া হচ্ছে না। অনেকেরই অবসরের বয়স হয়ে এসেছে। এই পরিস্থিতিতে তাঁদের আস্থা একমাত্র আদালত৷ 

মামলাকারীদের আইনজীবী বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য এদিন আদালতে বলেন, ইসিএল কর্তৃপক্ষ অত্যন্ত প্রতিহিংসাপরায়ণ মনোভাব নিয়ে চলছ৷ মামলা করার ‘অপরাধে’ সাত বছর ধরে শিক্ষক-শিক্ষিকাদের বেতন বন্ধ করে রাখা হয়েছে। প্রাথমিক মামলা শুনানিতে ইসিএলের পক্ষের আইনজীবীর উদ্দেশে বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের কড়া প্রশ্ন, কেন জেনারেল ম্যানেজারের বেতন বন্ধ হবে না?

এদিন শুনানির পর বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের কড়া নির্দেশ, ইসিএলের কলকাতা অফিসকে হাই কোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেলের কাছে ৬ লক্ষ টাকা গচ্ছিত রাখতে হবে। সেইসঙ্গে আদালত বান্ধবকেও ২০ হাজার টাকা দিতে হবে। মামলাকারীদের টাকা জমা রাখতে হবে৷ তাঁরা পাঁচ হাজার টাকা দেবেন। আগামী ১১ মে এই পরবর্তী শুনানি৷ এজলাসে দাঁড়িয়ে এখন মামলাকারীরা একটাই কথা বলছেন, ‘ভগবানের এজলাসে মামলা এসেছে। এটাই আমাদের শেষ আশা। দেখা যাক!’