ju
কলকাতা: দেশের প্রথম সারির বিশ্ববিদ্যালয় যাদবপুর৷ কিন্তু সেই বিশ্ববিদ্যায়ের গায়ে লেগেছে ব়্যাগিং-এর কলঙ্ক৷ প্রম বর্ষের ছাত্র মৃত্যুর পর থেকে বারবারর করে এই অভিযোগ সামনে এসেছে৷ এবার খোদ উপাচার্য বললেন, তিনি ব়্যাগিং-এর শিকার৷
দায়িত্ব পেয়েছেন ৩৪ দিন হল। এরই মধ্যে তিনি বীতশ্রদ্ধ৷ শনিবার প্রকাশ্যে পড়ুয়াদের একাংশের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগড়ে দেন যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য বুদ্ধদেব সাউ। তিনি বলেন, কোনও সিদ্ধান্ত কার্যকর করতে দেওয়া হচ্ছে না৷ গত মাসেই যাদবপুরের মেন হস্টেলের তৃতীয় তলা থেকে পড়ে মৃত্যু হয়েছিল প্রথম বর্ষের এক পড়ুয়ার৷ অস্বাভাবিক মৃত্যুর ঘটনার পর উঠে আসে যাদবপুরের ‘র্যাগিং সংস্কৃতি’৷ এই ঘটনায় তোলপাড় হয়েছিল গোটা রাজ্য। সেই আবহেই বিস্ফোরক দাবি করলেন, যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের অস্থায়ী উপাচার্য৷ গণিতের অধ্যাপক বুদ্ধদেবের দাবি, তিনিও র্যাগিংয়ের শিকার!
যদিও বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়াদের দাবি, উপাচার্য ক্যাম্পাস সম্পর্কে কোনও খোঁজখবর রাখেন না। একাংশ আবার বলছে, উপাচার্য কারও সঙ্গে কোনও বিষয়ে পরামর্শ করছেন না। কারও সঙ্গে কথাও বলছেন না। উনি ওঁর ঘনিষ্ঠ মহলের কথা শুনে সব সিদ্ধান্ত নিচ্ছেন। আফসু (কলা শাখার ছাত্র সংসদ)-র এক ছাত্রনেতার বক্তব্য, ‘‘কেউ ভিসি-কে বাধা দিচ্ছেন না। অপমানও করছে না৷ বরং উনিই ছাত্রছাত্রীদের সঙ্গে দুর্ব্যবহার করছেন। ওঁর সঙ্গে দেখা করার জন্য অ্যাপয়েন্টমেন্ট নিতে হচ্ছে। তার পর সময় চেয়ে কথা বলতে গেলে উনি কথা বলছেন না। এ ভাবে চলতে পারে না।’’