cpm union
কলকাতা: স্বাধীনতা দিবসের প্রাক্কালে বেহালায় অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে যাদবপুরের ঘটনা নিয়ে প্রথম মুখ খুলেছিলেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি যাদবপুরকে ‘আতঙ্কপুর’ বলে ব্যাখ্যা করে দাবি করেছিলেন যারা এই কাজ করেছে তারা মার্কসবাদী। কখনও বিজেপি, কখনও কংগ্রেসের সঙ্গে ঘর করে। আর আজ নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়ামে ‘অল ইন্ডিয়া ইমাম মোয়াজ্জেম স্যোশাল ওয়েলফেয়ার অর্গানাইজ়েশন’-এর উদ্যোগে এক অনুষ্ঠানে যোগ দিয়েও এই ইস্যুতে সিপিএমকে কাঠগড়ায় তুললেন তিনি।
এদিনের অনুষ্ঠান থেকে যাদবপুর ইস্যুতে মন্তব্য করে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ”সিপিএমের ইউনিয়ন একটা ছেলেকে মেরে ফেলল। কী পরিস্থিতি, এখনও বদলায়নি। এত খুন করেও, এত রক্ত নিয়েও বদলায়নি। এঁরা জীবনে বদলাবে না।” বেহালার অনুষ্ঠান থেকে তাঁর স্পষ্ট বক্তব্য ছিল, ছাত্রের বাবার সঙ্গে তাঁর ফোনে কথা হয়। তিনি তাঁকে জানান যে, তাঁর ছেলেকে অত্যাচার করে ওপর থেকে ফেলে দেওয়া হয়েছে। নেত্রী এও দাবি করেন, ছেলেটির হাতে একটা মাদুলি ছিল। ওরা ওটাও খুলতে বলে। ওটা যেন ওদের রেড ফোর্ড, নিজেদের জমিদারি! অভিযোগের সুরে মমতা জানান, ওখানে সিসিটিভি লাগাতে দেয় না, পুলিশ ঢুকতে দেয় না। যাদবপুর এখন আতঙ্কপুর।
প্রসঙ্গত আজই র্যাগিং রুখতে কুইক রেসপন্স টিম তৈরির সিদ্ধান্ত নিয়েছে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। ক্যাম্পাস এবং হস্টেলে কোনও রকম অপ্রীতিকর কিছু ঘটলে দ্রুত পদক্ষেপ করবে এই টিম। বিশ্ববিদ্যালয়ে ২ কিমি এলাকার মধ্যে থাকবে এই দল বলে জানানো হয়েছে। যদিও বিশ্ববিদ্যালয়ে সিসি ক্যামেরা বসানো নিয়ে এখনও পর্যন্ত বাস্তবিক পদক্ষেপ নেওয়া যায়নি কারণ পড়ুয়াদের একাংশ সিসি ক্যামেরা বসানোর বিরুদ্ধে।