JU University
কলকাতা: যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র মৃত্যুর ঘটনার পর বেশ কয়েক দিন কেটে গিয়েছে। কিন্তু এই ঘটনা নিয়ে উত্তাপ এখনও বহাল বাংলায়। ইতিমধ্যে পুলিশি তদন্তে একাধিক তথ্য সামনে এসেছে এবং গ্রেফতার হওয়া পড়ুয়াদের জেরাও চলছে দফায় দফায়। অন্যদিকে র্যাগিং রুখতে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষও কিছু ব্যবস্থা নিয়েছিল। তার মধ্যে ছিল অ্যান্টি র্যাগিং কমিটি। কিন্তু তাতে পুরোপুরি ফল না মেলায় এবার অন্য ভাবনা নিয়েছে তারা।
জানা গিয়েছে, র্যাগিং রুখতে এ বার কুইক রেসপন্স টিম তৈরির সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। ক্যাম্পাস এবং হস্টেলে কোনও রকম অপ্রীতিকর কিছু ঘটলে দ্রুত পদক্ষেপ করবে এই টিম। বিশ্ববিদ্যালয়ে ২ কিমি এলাকার মধ্যে থাকবে এই দল বলে জানানো হয়েছে। যদিও বিশ্ববিদ্যালয়ে সিসি ক্যামেরা বসানো নিয়ে এখনও পর্যন্ত বাস্তবিক পদক্ষেপ নেওয়া যায়নি কারণ পড়ুয়াদের একাংশ সিসি ক্যামেরা বসানোর বিরুদ্ধে। এই ইস্যু নিয়েও আলাদা করে বিতর্ক বেঁধেছে। সমাজ মাধ্যমে অনেক ভিডিও ভাইরাল হচ্ছে যেখানে দেখা যাচ্ছে, পড়ুয়ারা সিসি ক্যামেরার বিরোধিতা করে অবাক করা কিছু যুক্তি দিচ্ছে। তা নিয়ে সংবাদমাধ্যমেও নানা বিতর্ক-সভা হচ্ছে।
উল্লেখ্য, যাদবপুরের ঘটনায় বারবার উঠে আসছে গ্রেফতার হওয়া মূল অভিযুক্ত সৌরভ চৌধুরীর নাম। বিশ্ববিদ্যালয় বা হস্টেলে সৌরভ যে কতটা প্রভাবশালী ছিলেন তা নিয়ে বহু ঘটনার কথা সামনে আসছে। জানা গিয়েছে হস্টেলে নতুন ছাত্ররা আসার পর সৌরভকে তাঁদের ‘বাবা’ বলে ডাকতে বাধ্য করা হত। সৌরভের পাশাপাশি সিনিয়র ছাত্রদের হস্টেলে এতটাই দাপট ছিল যে, খোদ হস্টেল সুপার বিল্ডিংয়ের উপরে ওঠার সাহস পেতেন না।