মমতার জেদের ফলেই ৭০ লাখ বাঙালি কৃষক বঞ্চিত! চরম তুলোধনা নাড্ডার

মমতার জেদের ফলেই ৭০ লাখ বাঙালি কৃষক বঞ্চিত! চরম তুলোধনা নাড্ডার

02bedb5150852ee1c15b7fbf34f18aef

মালদহ: দু দিনের বঙ্গ সফরে এসে আজ প্রথম মালদহে যান বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডা। মালদহের সাহাপুরে কৃষক সুরক্ষা অভিযানে যোগ দিয়ে তিনি একহাত নিলেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে। বললেন, তাঁর জেদের ফলেই বাংলার কৃষকরা আজ বঞ্চিত। পাশাপাশি, তিনি কটাক্ষ করে বলেন, বাংলায় সব জায়গায় ‘জয় শ্রীরাম’ স্লোগান শোনা যাচ্ছে, খালি মমতাদি রেগে যাচ্ছেন। 

আরও পড়ুন: ‘যেখানেই যাচ্ছেন সেখানেই জয় শ্রীরাম ধ্বনি, মমতাদি এত রাগ হচ্ছে কেন?’ কটাক্ষ নাড্ডার

এ দিন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডা মন্তব্য করেন, ৩৫ লক্ষ কৃষক সুরক্ষা অভিযানে যুক্ত, ৩৩ হাজার গ্রামে পৌঁছেছে ভারতীয় জনতা পার্টি। রাজ্যে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার অন্যায় করেছে বলেও তোপ দাগেন তিনি। আরও দাবি করেন, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ৬ হাজার টাকা প্রকল্পের মারফত দিয়েছিলেন, তবে সম্মাননিধি কেন্দ্র দিলেও, জেদের বশে তা নেননি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর অভিযোগ, বাংলার ৭০ লাখ কৃষক বঞ্চিত হয়েছেন এর কারণে। একই সঙ্গে বলেন, রাজনৈতিক কারণে কেন্দ্রীয় সরকারের কিষান নিধি সম্মান যোজনা থেকে বাংলার কৃষকদের বঞ্চিত করছে এই রাজ্য সরকার। তবে বাংলার আরো অনেক কৃষক যে কেন্দ্রীয় প্রকল্প পাবে আজ তার প্রতিশ্রুতি দিয়ে রাখলেন তিনি। এর পাশাপাশি নাড্ডা আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে জানিয়ে দেন, বাংলার মানুষ মমতা সরকারের হার নিশ্চিত করবে। একই সঙ্গে রাজ্যের তৃণমূল কংগ্রেস সরকারকে টাটা করতে প্রস্তুত বাংলার জনতা।তাঁর কথায়, তিনি যেখানেই যান সেখানে ‘পিসি-ভাইপোর’ হাত জোড় করে দাঁড়িয়ে থাকার পোস্টার দেখেন৷ কিন্তু বাংলার মানুষ তাদের ‘নমস্কার’ জানানোর সিদ্ধান্ত নিয়ে নিয়েছে৷

আরও পড়ুন: ‘দু’হাত জোড় করে দাঁড়িয়ে পিসি-ভাইপো, টা টা করতে প্রস্তুত বাংলা’ কটাক্ষ নাড্ডার

নাড্ডা আরো বলেন, কৃষকদের ন্যূনতম সহায়ক মূল্য বা এমএসপি’র দেড় গুণ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী৷ কৃষি উন্নয়ন খাতে ১৫০০ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে৷ আরও তিনটি প্রকল্প অনুমোদন করা হয়েছে৷ রাষ্ট্রীয় হানি মিশনকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে৷ তিনি বলেন, কোনও বাধা ছাড়াই কৃষি পণ্য রেলের মাধ্যমে যাতে বিভিন্ন জায়গায় পৌঁছে যেতে পারে তার ব্যবস্থা করা হয়েছে৷ সালিমার থেকে সোজা মহারাষ্ট্রে এই পণ্য পৌঁছে যাবে৷ ধান সংগ্রহের জন্য ৬৪ হাজার টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে৷ 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *