কলকাতা: নেতাজির ১২৫ তম জন্মবার্ষিকীতে একগুচ্ছ কর্মসূচীর ঘোষণা করলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷ নেতাজির জন্মবার্ষিকী পালনে শিশু ও যুব সম্প্রদায়কে কীভাবে আকৃষ্ট করা যেতে পারে তা নিয়েও এদিন হয় আলোচনা৷ মুখ্যমন্ত্রী আরও জানান, রাজ্যের প্রতিটি স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়ে কেন্দ্রের এনসিসি–র পাশাপাশি একই আদলে গড়া হবে ‘জয় হিন্দ বাহিনী’। তারা প্যারেড করবে, তারা দেখবে বিপর্যয় কীভাবে সামলাতে হয়৷ সমাজে কেউ বিপদে পড়লে তাকে কীভাবে সাহায্য করবে তা দেখবে এই জয় হিন্দ বাহিনী৷
১৯৩৮ সালে প্ল্যানিং কমিশন গঠন করেছিলেন নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসু। সেই কথা মনে করিয়ে দেন মমতা একইসঙ্গে কেন্দ্রের নীতি আয়োগ’কে কটাক্ষ করে এদিন মমতা ঘোষণা করেন, ‘আমরা বাংলা প্ল্যানিং কমিশন শুরু করব। জাতীয় ও আন্তর্জাতিক স্তরে কাজ করবে এই কমিশন। কেউ মানবে, কেউ মানবে না। তাতে আমাদের কিছু যায় আসে না।’
নেতাজির জন্মবার্ষিকী পালনে শিশু ও যুব সম্প্রদায়কে কীভাবে আকৃষ্ট করা যেতে পারে তা নিয়েও এদিন আলোচনা হয়। মুখ্যমন্ত্রীর প্রস্তাব, অলচিকী, পাহাড়ি–সহ বিভিন্ন আঞ্চলিক ভাষায় নেতাজিকে নিয়ে বই প্রকাশ করা যেতে পারে। এদিন নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুর ‘তরুণের স্বপ্ন’ বইটি সব ভাষায় অনুবাদ করার কথা বলেছেন তিনি। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, এই বইটি তাঁকে জীবনে অনেক উদ্বুদ্ধ করেছে৷ উল্লেখ্য, এদিনের আলোচনাসভায় ছিলেন নোবেলজয়ী অভিজিৎ বিনায়ক বন্দ্যোপাধ্যায়, যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য সুরঞ্জন দাস, ফেলিক্স রাজ, সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায়, সুগত বসু, অর্থমন্ত্রী অমিত মিত্র, ব্রাত্য বসু, যোগেন, শুভাপ্রসন্ন, রুদ্রপ্রসাদ সেনগুপ্ত, জয় গোস্বামী, সুবোধ সরকার প্রমুখ।