কলকাতা: সম্প্রতি করণায় আক্রান্ত হয়েছিলেন কবি শঙ্খ ঘোষ। আজ সেই করোনাই প্রাণ কেড়ে নিয়েছে তাঁর। কবির প্রয়াণে শোকস্তব্ধ বাংলার সাহিত্য জগৎ থেকে শুরু করে আপামর বঙ্গবাসী। শঙ্খ ঘোষের প্রয়াণে নিঃসঙ্গতা গ্রাস করেছে কবি জয় গোস্বামীকে। এমনই অনুভূত হচ্ছে কবির। তাঁর কথায়, তিনি কি হারালেন, একমাত্র তিনিই জানেন।
বয়সের অনেকটাই ফারাক দুজনের মধ্যে। শঙ্খ ঘোষকে নিজের অভিভাবক মানতেন জয় গোস্বামী। তাই আজ কবির মৃত্যুর খবর শুনে বাকরুদ্ধ হয়ে পড়েছেন তিনি। জয় গোস্বামী বলছেন, বাংলা সাহিত্য জগতের শুধু নয়, অপূরণীয় ক্ষতি হয়েছে ব্যক্তিগতভাবেও। তিনি মনে করছেন তিনি তাঁর অভিভাবককে হারিয়েছেন। মাথার উপর থেকে সরে গেছে বলে মনে করছেন জয় গোস্বামী। এক কথায় তিনি বলছেন, ‘নিঃস্ব হলাম’। উল্লেখ্য, গত ১৪ এপ্রিল করোনা আক্রান্ত হন তিনি৷ আজ সকাল ৮টায় ঘুমের মধ্যেই প্রয়াত হন শঙ্খ ঘোষ৷ বেশ কিছুদিন ধরে গায়ে জ্বর ছিল তাঁর৷ ১৪ এপ্রিল করোনা রিপোর্ট ধরা পড়ে৷ এমনিতেই বার্ধক্যজনিত সমস্যায় ভুগছিলেন বাংলার এই কবি৷ শরীরিক ভাবে ছিলেন দুর্বল৷ জানুয়ারি মাসে হাসপাতালেও ভর্তি হয়েছিলেন তিনি৷
বাংলা কবিতার জগতে শঙ্খ ঘোষের অবদান কিংবদন্তিপ্রতিম৷ ‘মুখ ঢেকে যায় বিজ্ঞাপনে’, ‘গান্ধর্ব কবিতাগুচ্ছ’ তাঁর উল্লেখযোগ্য কাব্যগ্রন্থ৷ রবীন্দ্র বিশেষজ্ঞ হিসেবেও ছিলেন প্রসিদ্ধি৷ ১৯৭৭ সালে ‘বাবরের প্রার্থনা’ কাব্যগ্রন্থটির জন্য তিনি দেশের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ সাহিত্য পুরস্কার সাহিত্য অকাদেমি পুরস্কার পান৷ রবীন্দ্র পুরস্কার থেকে শুরু করে সরস্বতী সম্মান, জ্ঞানপীঠ পুরস্কার পেয়েছেন শঙ্খ ঘোষ৷ ২০১১ সালে পদ্মভূষণে সম্মানিত করে কেন্দ্রীয় সরকার৷