মমতার সভায় সাংবাদিক ‘নিগ্রহ’! ‘ধিক্কার জানাই’, বললেন ব্রাত্য

মমতার সভায় সাংবাদিক ‘নিগ্রহ’! ‘ধিক্কার জানাই’, বললেন ব্রাত্য

 

রাণাঘাট: রানাঘাটের হবিবপুরের ছাতিমতলা ময়দানে এদিন জনসভা করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্ধোপাধ্যায়। কিন্তু এদিনের জনসভায় ঘটে যায় এমন এক আপত্তিকর ঘটনা যাতে ব্যাপক অস্বস্তিতে পরে গিয়েছে শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস। সভা শুরু হওয়ায় মুখেই রাজ্যের এক জনপ্রিয় সংবামাধ্যমের সাংবাদিককে মারধর করার ঘটনা ঘটেছে। ইতিমধ্যেই এই ঘটনায় শোরগোল পড়ে গিয়েছে। যদিও, এই ঘটনার কড়া প্রতিক্রিয়া দিয়েছেন তৃণমূল কংগ্রেসের ব্রাত্য বসু।

এদিন মমতার সভা শুরু হওয়ার সময় হঠাৎ ‘আক্রান্ত’ হন জনপ্রিয় সংবাদ মাধ্যমের সাংবাদিক এবং চিত্র সাংবাদিক। এই বিষয় নিয়ে তৃণমূল কংগ্রেসের ব্রাত্য বসু জানান, এই ধরনের ঘটনার তিনি তীব্র করেন এবং ধিক্কার জানান। ঘটনার খোঁজখবর নেওয়া হচ্ছে ইতিমধ্যেই। অভিযোগ, তৃণমূল কংগ্রেস কর্মীরাই আক্রমণ করেছে তাদের।ইতিমধ্যেই পদক্ষেপ নেওয়ার আশ্বাস দেওয়া হলেই এই ঘটনায় মুখ পুড়েছে শাসক দলের। তবে আজ আরও বেশি করেই অস্বস্তিতে পড়েছে তৃণমূল তথা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আজ মুখ্যমন্ত্রীর সভা‌ সভা শেষ হবার বেশ কিছুক্ষণ আগেই অনেকের সভা ছেড়ে চলে যেতে চাইছিলেন। তাদের উদ্দেশ্য করে মুখ্যমন্ত্রী এদিন বলেন, ‘যারা যেতে চায় তাদের ছেড়ে দিন। তারা চলে যাক, কোন অসুবিধা নেই। অনেকক্ষণ এসেছে তারা, বাড়িতে অনেক কাজ আছে। বাইরে এখনো ৩০-৪০ হাজার লোক দাঁড়িয়ে আছে। ওরা ঢুকে যাবে।’ সম্প্রতি বিজেপির সভায় এই ধরনের দৃশ্য দেখা যাওয়ার পর কটাক্ষ শুরু করেছিল তৃণমূল কংগ্রেস। এখন একই রকম ঘটনার পুনরাবৃত্তি ঘটল খোদ তৃণমূল কংগ্রেসের সভায়, যেখানে প্রধান বক্তা হিসেবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বক্তৃতা রাখছেন।

এদিকে, জনসভায় বক্তৃতা রাখার সময় হঠাৎ কয়েকজনকে উদ্দেশ্য করে মুখ্যমন্ত্রী জিজ্ঞেস করেন তারা হঠাৎ ছবি তুলছে কেন। তারপরই তিনি কার্যত বিরক্ত হয়ে বলেন, “কারোর কিছু বলার থাকলে একটা চিঠি হাতে ধরিয়ে দেবেন। কিন্তু এইভাবে মিটিংয়ে ডিস্টার্ব করবেন না। দয়া করে। কে কি বলল সেই বিষয় নিয়ে দুয়ারে সরকার আছে সেখানে চিঠি দিতেই পারে। চিঠি দিয়ে দেবেন পরে, মিটিংয়ের পরে, এখন নয়।” এই প্রসঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী স্পষ্ট জানান, মিটিংয়ে কেউ এভাবে ডিস্টার্ব করলে তার একেবারেই ভাল লাগে না। তবে একই প্রসঙ্গে হঠাৎ এই রকম ছন্দপতন ঘটে গেল ভরা সভায়? সে ব্যাপারও পরিষ্কার হয়ে যায় মমতার কথায়। তিনি বলেন, যারা এই ধরনের কাজ করছেন তারাও জানেন, মাত্র এক মাস আগে আইসিডিএস এবং আশা কর্মীদের ১০০০ টাকা করে বাড়ানো হয়েছে, সহায়িকাদের ৫০০ টাকা করে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

1 × 5 =