বাঁকুড়া: ‘হয় চাকরি দিন, নয়তো স্বেচ্ছামৃত্যুর অনুমতি দিন’৷ এমন দাবি তুলে আবারও আন্দোলনে ২০১৪ টেট উত্তীর্ণরা। মঙ্গলবার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, শিক্ষা মন্ত্রী ব্রাত্য বসুর ছবি সম্বলিত পোষ্টার, ব্যানার নিয়ে প্রাথমিক টেট উত্তীর্ণ বঞ্চিত ডিএলএড ঐক্য মঞ্চের তরফে বাঁকুড়া জেলা প্রাথমিক বিদ্যালয় সংসদ কার্যালয় ‘বিদ্যাভবনে’র সামনে ফের অবস্থান আন্দোলন শুরু করা হয়৷
আন্দোলনকারীদের দাবি, ২০২০ সালের ১১ নভেম্বর নবান্ন সভাগৃহ থেকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ২০১৪ সালের টেট উত্তীর্ণ-প্রশিক্ষিত প্রার্থীদের প্রাথমিক শিক্ষক পদে নিয়োগের কথা ঘোষণা করেছিলেন। মোট ২০ হাজারের মধ্যে প্রায় ১২ হাজার নিয়োগপত্র পেয়েছেন। কিন্তু কোনএ এক অজ্ঞাত কারণে বঞ্চিতদের দলে রয়ে গেলেন একটা বড় অংশের টেট উত্তীর্ণ-প্রশিক্ষিত চাকরি প্রার্থীরা।
আন্দোলনকারীরা জানান, সারা রাজ্যে এই সংখ্যা যেখানে প্রায় আড়াই হাজার, বাঁকুড়া জেলায় সেই সংখ্যা মাত্র ১৫০ জন। একই সঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী যেখানে নিয়োগের প্রতিশ্রুতি দিচ্ছেন সেখানে প্রাথমিক বিদ্যালয় পর্ষদ তাঁর প্রতিশ্রুতি পালনে কেন অনিহা প্রকাশ করছে সেই প্রশ্নও এদিন বিক্ষোভমঞ্চ থেকে তোলা হয়৷ আন্দোলনকারীরা বলেন, ‘‘আমরা তো আমাদের ন্যাহ্য পাওয়ার কথা বলছি৷ যোগ্যতার ভিত্তিতে পরীক্ষায় পাশ করেও চাকরি পাচ্ছি না৷ অনেকেই অর্থাভাবে খারাপ অবস্থার মধ্যে রয়েছেন৷ তাই এভাবে বেঁচে থাকার থেকে মরে যাওয়া ভাল৷’’ এরপরই আন্দোলনকারীরা জানান, চাকরি দিন, না হলে স্বেচ্ছামৃত্যুর অনুমতি৷ তা না হলে আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার হুঁশিয়ারিও দিয়েছেন তাঁরা৷