কলকাতা: এসএসসি দুর্নীতি নিয়ে এখন সরগরম রাজ্য। শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস বিরাট চাপে রয়েছে কারণ দলের একাধিক নেতা এবং রাজ্যের মন্ত্রীর নাম এই কেলেঙ্কারির সঙ্গে জড়িয়ে গিয়েছে। ইতিমধ্যেই কলকাতা হাইকোর্ট দুর্নীতি মামলায় একাধিক কড়া নির্দেশ দিয়েছে। মামলায় তদন্ত করছে সিবিআই। এই ইস্যু নিয়ে তৃণমূলকে কটাক্ষ করতে ছাড়েনি সিপিএম-বিজেপি। কিন্তু এবার পাল্টা চাপে পড়ল লাল বাহিনী। কারণ সিপিএমের লোকাল কমিটির প্যাডের একটি কাগজের ছবি এখন ভাইরাল হয়েছে, যেটি একটি চাকরির সুপারিশ পত্র।
আরও পড়ুন- প্রকাশিত রাজ্য জয়েন্টের ফল, প্রথম ও দ্বিতীয় দু’জনেই হিমাংশু শেখর, পাঁচে নেই WBCHSE-র কেউ
যে প্যাডের কাগজের ছবি ভাইরাল হয়েছে তাতে ওপরের দিকে লেখা ‘ভারতীয় কমিউনিস্ট পার্টি (মার্কসবাদী) পাচরা লোকাল কমিটি’। এই সুপারিশটি ২০০৮ সালে ২৭ ডিসেম্বর করা হয়েছে। কমরেড খগেন্দ্রনাথ মাহাতোর উদ্দেশে লেখা হয়েছে, ”কমরেড, আমি শ্রী মোহিতলাল হাজরা গ্রাম পালজাগুল পোস্ট জাগুল জেলা পশ্চিম মেদিনীপুর জানি ও চিনি। এবং খুব দুঃস্থ পরিবারের ছেলে। বামপন্থী আন্দোলনের সাথে যুক্ত। একে আপনার কাছে পাঠালাম। ধেড়ুয়া অঞ্চল মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে গ্রুপ ডি পদে যে লোক নেওয়া হবে, সেই বিষয়ে যাহাতে একে নেওয়া যায়, তার জন্য যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণে অনুরোধ করছি। পরে আপনার সাথে সাক্ষাৎ করে নেব।” নীচে নাম লেখা, জয়জীম আহাম্মদ। তবে এই ভাইরাল হওয়া সুপারিশপত্রের সত্যতা যাচাই করেনি আজ বিকেল ডট কম।
তবে এই ছবি ভাইরাল হতেই কটাক্ষের বন্যা বয়ে গিয়েছে সিপিএমের উদ্দেশে। বিজেপির তরফ থেকে দাবি করা হয়েছে যে, সিপিএম এবং তৃণমূল একই মুদ্রার এপিঠ-ওপিঠ। এদিকে তৃণমূলের বক্তব্য, সিপিএম কী করেছিল তা জানতে কারোর বাকি নেই। এখন ভোল পাল্টে বড় দাবি করা হয়। আসলে কলকাতা হাইকোর্ট যে কজনের চাকরি বরখাস্ত করেছে তারা এই সিপিএম নেতাদের পরিচিত বলেও দাবি ঘাসফুলের।