কলকাতা: বিস্ফোরক অভিযোগ জানিয়ে তৃণমূল কংগ্রেসকে ব্যাপকভাবে অস্বস্তিতে ফেলেছিলেন আসানসোলের পুর প্রশাসক তথা তৃণমূলের জেলা সভাপতি জিতেন্দ্র তিওয়ারি। শুভেন্দু অধিকারীর বিজেপিতে যোগদানের আগের মুহূর্ত পর্যন্ত সকলে ভেবেছিল তিনিও হয়তো বিজেপিতে চলে যাচ্ছেন। যদিও পরবর্তী ক্ষেত্রে জিতেন্দ্র তিওয়ারির পরিস্থিতি কি দাঁড়িয়েছে তা সকলেরই জানা। বিজেপিতে না গিয়ে নিজের ভুল বুঝতে পেরেছে এনামুল কংগ্রেসকে ফিরে আসার জন্য আবেদন করেছিলেন তিনি। তবে সময় হয়তো তাঁর দিকে ছিল না। জিতের জ্যোতি বাড়ির জন্য তৃণমূল কংগ্রেসের অবস্থা হয়ে গিয়েছে অনেকটা না গিলতে পারা, না ফেলতে পারার মত। এই পরিস্থিতিতে ফের একবার জল্পনা উস্কে দিলেন খোদ জিতেন্দ্র তিওয়ারি। ইঙ্গিতপূর্ণ পোস্ট দিলেন সোশ্যাল মিডিয়ায়।
এদিন নিজের টুইটার হ্যান্ডেলে জিতেন্দ্র তিওয়ারি লেখেন, “যখন এগিয়ে যাওয়া কঠিন হয়, তখন কঠিন মানুষরা এগিয়ে যেতে শুরু করেন”। জিতেন্দ্রর এই পোস্ট ঘিরেই এখন জল্পনা তুঙ্গে। তাহলে কি পাকাপাকিভাবে তৃণমূল কংগ্রেসকে বিদায় জানাতে চলেছেন তিনি, এই প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে ইতিমধ্যেই। তবে তিনি কোন দলে যোগ দেবেন সেই ব্যাপার নিয়েও তর্কের অবসান ঘটেনি। কারণ এর আগে যখন বিজেপিতে যোগ দেবেন বলে জল্পনা তৈরি হয়েছিল তখন জিতেন্দ্র তিওয়ারিকে নিয়ে ব্যাপক অসন্তোষ প্রকাশ করেন বিজেপি কয়েকজন নেতা। তার মধ্যে অবশ্যই ছিলেন অগ্নিমিত্রা পল, বাবুল সুপ্রিয়। সেই সময়ে বিজেপির জন্য যে তাঁর দরজা বন্ধ তা কার্যত পরিষ্কার হয়ে গিয়েছিল। তবে এখন আবার এই ইঙ্গিতপূর্ণ পোস্ট জিতেন্দ্র তিওয়ারি দল ছাড়ার ইঙ্গিত দিচ্ছে। সেই প্রেক্ষিতে হয়ত ফের একবার বিজেপি শিবিরের যাওয়ার চেষ্টা করবেন তিনি বলে রাজনৈতিক মহলের অনুমান।
When the going gets tough,
The tough get going!!— Jitendra Tiwari (@JitendraAsansol) January 18, 2021
রাজনৈতিক কারণে আসানসোলের উন্নয়ন হচ্ছে না বলে রাজ্য সরকারের দিকে আঙুল তুলে বিস্ফোরক অভিযোগ করেছিলেন জিতেন্দ্র তিওয়ারি। নিশানা করেছিলেন পুরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিমকে। তার পরেই পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছিলেন তিনি। পরবর্তী ক্ষেত্রে বর্তমান বিজেপি নেতা সুনিল মন্ডলের বাড়িতে শুভেন্দু অধিকারীর সঙ্গে বৈঠক করেন জিতেন্দ্র। তার পরে অবশ্য সব জল্পনায় জল ঢেলে তিনি জানিয়ে দেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে দুঃখ দিতে পারবেন না, তাই তৃণমূলেই থাকতে চান। যদিও ব্যাপারটা একেবারেই ভালোভাবে নেয়নি তৃণমূল কংগ্রেস। তাই এখন জিতেন্দ্র তিওয়ারি রাজনৈতিক ভবিষ্যত নিয়ে চূড়ান্ত অনিশ্চয়তা।