কলকাতা: বিজেপির অন্দরে বিদ্রোহ ক্রমশ বাড়ছে। বিক্ষুব্ধ নেতাদের ক্ষোভ কমা তো দূর উলটে একের পর এক কড়া অবস্থান নিচ্ছে তারা। সম্প্রতি বহিষ্কার করা হয়েছে জয়প্রকাশ মজুমদার এবং রীতেশ তিওয়ারিকে। দল যতই ‘সাময়িক’ বলুক, এই বহিষ্কার কবে উঠবে তা নিয়ে এখনও পর্যন্ত মুখ খোলেনি বিজেপি শীর্ষ নেতৃত্ব। আবার গোদের ওপর বিষফোঁড়ার অবস্থা জয়প্রকাশের সাংবাদিক বৈঠক। সেখানে দলের বিরুদ্ধে বিপুল ক্ষোভ উগড়ে ছিলেন তিনি। এবার আরও কড়া অবস্থান নিলেন জয়প্রকাশ। নির্বাচন প্রক্রিয়া থেকে দূরে থাকার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তিনি।
আরও পড়ুন: ‘দুয়ারে সরকার’ থেকেই করোনা টিকা! নয়া উদ্যোগ রাজ্যের
জানা গিয়েছে, শুধুমাত্র জয়প্রকাশ নন, দলের অন্যান্য বিক্ষুব্ধরাও আসন্ন ভোট প্রক্রিয়ায় অংশ নেবে না। তাদের বক্তব্য, তারা কেউ দলের বিপক্ষে নয়, শুধু রাজ্য নেতৃত্বের ক্ষমতা কুক্ষিগত করে রাখার বিরুদ্ধে। দলকে তারা শত্রু বলে মনে করেন না ঠিকই, কিন্তু এখন যা পরিস্থিতি তাতে কেউ নির্বাচনী প্রক্রিয়ায় অংশ নিতে চাইছে না। রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের একাংশ মনে করছে, এই সিদ্ধান্তে এই মুহূর্তে চাপে না পড়লেও ভোটের পরে বিজেপি নেতৃত্ব চাপে পড়তেই পারে। কারণ নির্বাচনের ফলাফল খারাপ হলে এই বিক্ষুব্ধরা তাদের ওপরেই অভিযোগের আঙুল তুলবে তা স্পষ্ট। পাশাপাশি বিরোধী দলের খোঁচা তো রয়েছেই। উল্লেখ্য, আগামী ১২ ফেব্রুয়ারি বিধাননগর, আসানসোল, চন্দননগর এবং শিলিগুড়ি পুরসভায় নির্বাচন রয়েছে। ভোটগণনা হবে ১৪ ফেব্রুয়ারি।
সম্প্রতি নিজের পুরোনো দলের বিরুদ্ধে আক্রমণ শানিয়েছিলেন তৃণমূল নেতা বাবুল সুপ্রিয়। জয়প্রকাশ মজুমদারের সাংবাদিক বৈঠকের প্রসঙ্গ টেনেই তিনি বলেছিলেন, ”৫ মাস আগে আমি যা বলেছিলাম বঙ্গ বিজেপির সম্পর্কে এখন সাংবাদিক বৈঠকে সেটার প্রতিধ্বনি শোনা যাচ্ছে। অজন্তা সার্কাসের পূর্ববর্তী ‘রিং মাস্টার’ দিয়ে শুরু হয়েছিল অপরিপক্ক, অকথ্য, অনভিজ্ঞ জোকারদের উত্থান। এখন দেখতে থাকুন, গণ প্রত্যাখ্যানের পর বিজেপি বাংলা থেকে বিলুপ্ত হয়ে যাবে সময়ের আগেই”। বাবুলের সেই বক্তব্য আরও উত্তাপ বাড়িয়েছে বিজেপির অন্দরে।