দলের একটা অংশ পচে গিয়েছে, এভাবে বান্ধবীর জন্য ফ্ল্যাট-গয়না! গা শিরশির করে, বিস্ফোরক জহর

দলের একটা অংশ পচে গিয়েছে, এভাবে বান্ধবীর জন্য ফ্ল্যাট-গয়না! গা শিরশির করে, বিস্ফোরক জহর

কলকাতা: শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের ঘনিষ্ঠ অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের দুটি ফ্ল্যাটে হানা দিয়ে কোটি কোটি টাকা উদ্ধর করেছে ইডি৷ উদ্ধার হয় বিপুল সোনাদানা৷ যা স্বভাবতই অস্বস্তিতে ফেলেছিল তাঁকে৷ দুর্নীতি ধরা পড়তেই তাঁর বাড়ির লোকজন বলেছিলেন রাজনীতি ছেড়ে দিতে৷ তবে তিনি যে এখনই রাজনীতি ছাড়বেন না, তা স্পষ্ট করে দিলেন তৃণমূল সাংসদ জহর সরকার৷ 

আরও পড়ুন- সন্তানহারা মেয়র পারিষদের বাড়িতে মুখ্যমন্ত্রী, আশ্বস্ত করলেন পরিবারকে

তাঁর কথায়, প্রতিটি রাজনৈতিক দলেই টাকা তোলার লোক থাকে৷ দল চালাতে গেলে টাকার প্রয়োজন হয়৷ তবে তৃণমূলের এক শ্রেণির লোক যে ভাবে টাকা তুলেছে তাতে তৃণমূলের শরীরের একটা অংশ পচে গিয়েছে৷ জেল হেফাজতে থাকা প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী সম্পর্কে জহর বলেন, ‘‘শিক্ষামন্ত্রী হিসাবে পার্থবাবুকে দেখেছি। আনেকবার কথাও বলেছি৷ টিভিতে দেখার পর বিশ্বাস হচ্ছিল না। ওঁর আদ্যন্ত ভদ্রলোকের ইমেজ! তিনি কার সঙ্গে ঘনিষ্ঠ হচ্ছেন, তা নিয়ে অবশ্য আমার কিছু বলার নেই। কিন্তু দুর্নীতির টাকা দিয়ে তাঁকে অলঙ্কৃত করা! এটা দেখলেই কেমন যেন গা শিরশির করে।’’ বান্ধবীকে ফ্ল্যাট কিনে দেওয়া প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘‘সব পেশাতেই একটা শ্রেণি আছে, যাঁরা ধাপ্পাবাজি করতে এসেছে৷ রাজনীতিতেও অনেকে ধান্দাবাজি করে। কিন্তু এ বার যে ভাবে করল সেটা সত্যিই দৃষ্টিকটু।’’

 
জহর সরকার মনে করেন, দুর্নীতিগ্রস্তদের চিহ্নিত করা গেলে তৃণমূল নেতৃত্বের উচিত দল থেকে তাঁদের তাড়িয়ে দেওয়া৷ তাঁর সাফ কথা, ‘‘রাজনৈতিক দলের নাম ভাঙিয়ে যত ইচ্ছা টাকা বানাবো, বান্ধবীর নামে ফ্ল্যাট কিনব, গাড়ির পরে গাড়ি কিনব, এগুলো সত্যিই মানতে পারছি না।’’