Aajbikel

দিদির দুয়ারে ‘জনতার দরবার’, সরাসরি জানানো যাবে সমস্যা-মতামত

 | 
মমতা

 কলকাতা: রাজ্যবাসী কাছে পৌঁছে তাঁদের সুবিধা অসুবিধার কথা জানতে বিভিন্ন সময় বিভিন্ন উদ্যোগ নিয়েছে প্রশাসন৷ কখনও ‘দিদিকে বলো’ কর্মসূচিতে সরাসরি ফোন করে জানানো গিয়েছে অভিযোগ, কখনও মানুশের মাঝে পৌঁছেছে ‘দিদির দূত’৷ সর্বশেষ প্রকল্প ‘দিদির সুরক্ষা কবচ’৷ যার মাধ্যমে নানাবিধ সমস্যার সমাধান খুঁজেছে সাধারণ মানুষ৷ পঞ্চায়েত ভোটকে পাখির চোখ করে শুরু হয়েছে তৃণমূলের নবজোয়ার৷ গ্রামে গ্রামে পৌঁছে মানুষের সঙ্গে কথা বলছেন দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। কিন্তু এখানেই শেষ নয়, এবার শুরু হল দিদির পাড়ায় ‘জনতার দরবার’৷ যদিও  মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার পরেই জনতার দরবার চালু করেছিলেন মমতা। কিন্তু করোনা পর্বে তা বন্ধ হয়ে যায়। রবিবার থেকে নতুন করে সেই দরবার শুরু করা হল৷ 

কালীঘাটে মমতা বন্দ্যপাধ্যায়ের বাড়ির প্রবেশ পথে রয়েছে মিলনসঙ্ঘ। এবার থেকে সেখানেই প্রতি রবিবার সকাল ১০টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত বসবে দিদির দরবার। তত্ত্বাবধানে থাকবেন তৃণমূলের রাজ্য সভাপতি সুব্রত বক্সি। তবে গত রবিবার সুব্রত বক্সি ছাড়াও দরবারে হাজির হয়েছিলেন সাংসদ শান্তনু সেন, বিধায়ক নির্মল মাজি, কাউন্সিলার কাজরী বন্দ্যোপাধ্যায়রা। প্রশাসনিক আধিকারিকরাও এখানে থাকবেন বলে জানা গিয়েছে। কোনও সমস্যা থাকলে তার দ্রুত সমাধান করাই হবে জনতার দরবারের মূল লক্ষ্য। দরবার প্রসঙ্গে কাজরী বলেন, মুখ্যমন্ত্রী সারা পশ্চিমবঙ্গের মানুষের। এটা কোনও রাজনৈতিক দলের বিষয় নেই। ফলে মুখ্যমন্ত্রীর কাছে যে কেউ আসতে পারেন। তাঁদের সমস্যা ও মতামত জানাতে পারেন। এখানে মানুষের সঙ্গে সরাসরি কথা বলা হবে। কোনও চিঠিপত্র দিতে চাইলেও তা জমা করতে পারবেন। 

এর আগেও রবিবার করেই এই কর্মসূচী হত৷ সেখানে উপস্থিত থাকতেন সুব্রত বক্সি, ফিরহাদ হাকিম-সহ দলের শীর্ষ নেতারা৷ নতুন করে চালু হওয়া জনতার দরবারেও শীর্ষ পদাধিকারীরা হাজির থাকবেন বলেই দলীয় সূত্রের খবর। আগে কোনও কোনও রবিবার ৩০০-৪০০ জনও দরবারে এসে অভিযোগ জানিয়েছেন। ফের একবার বাংলার মানুষ তাঁদের কথা সরাসরি ‘দিদি’র কাছে পৌঁছে দিতে পারবেন এই দরবারের মধ্যে দিয়ে৷ 

Around The Web

Trending News

You May like