বারাকুর: মুখ্যমন্ত্রীর পর এবার মদন মিত্র৷ প্রচারে বেড়িয়ে ‘জয় শ্রীরাম’ স্লোগানে কার্যত থমকে গেল তৃণমূল প্রার্থীর রোড-শো৷ আজ, দুপুরে কাঁকিনাড়া বাজারে প্রচারে যান মদন৷ হুড খোলা গাড়িতে চলে প্রচার৷ সবকিছুই ঠিকই চলছিল৷ কাঁকিনাড়া বাজারে রোড-শো পৌঁছতেই বাঁধে বিপত্তি৷ তৃণমূল প্রার্থী মদন মিত্রের সামনেই উঠতে থাকে ‘জয় শ্রীরাম’ স্লোগান৷
মোদিও রামকে নিয়ে নিয়ে চলতে থাকে টানা স্লোগান৷ ‘জয় শ্রীরাম’ স্লোগান শুনতে শুনতে এগিয়ে যায় প্রচারের গাড়ি৷ পরে, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে নামানো হয় ব়্যাফ৷ পুলিশ ও ব়্যাফ এসে রাস্তার পাশে জটলা মুক্ত করে৷ এদিনের এই ঘটনায় কটাক্ষ করতে ছাড়েননি ভাটপাড়া কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী মদন মিত্র৷ সংবাদমাধ্যমে বলেন, ‘‘রামকে নিয়ে গুন্ডামি করছে বিজেপি৷ ওরা যদি ‘জয় শ্রীরাম’ স্লোগান তুলে তৃণমূলকে তিন নম্বর বোতামে ভোট দেন, তাহলে ক্ষতি কি?’’ মদনের প্রচার ঘিরে ‘জয় শ্রীরাম’ স্লোগানকে হাতিয়ার করেছে বিজেপি৷ স্থানীয় বিজেপি নেতৃত্বের দাবি, ভাটপাড়ার সাধারণ মানুষ চাইছেন না মদন মিত্রকে৷ তাই এই স্লোগান দেওয়া হয়েছে৷
এর আগে মঙ্গলবার তমকুলে দাঁড়িয়ে বিজেপির সভাপতি অমিত শাহ বলেন, “আমরা রাজা রামের নামে জয়ধ্বনি দেব, আপনার ক্ষমতা থাকলে আটকান৷” এরপরই তাঁর প্রশ্ন, ভগবান রামের নাম যদি ভারতে না নেওয়া যায় দবে কি পাকিস্তানে গিয়ে নিতে হবে? তৃণমূলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে চ্যালেঞ্জও জানান তিনি৷
শঙ্খধ্বনি থেকে উলুধ্বনি, মা দুর্গাকে নিয়ে আসা থেকে বারোয়ারি দুর্গাপুজোর উদ্যোক্তা ক্লাবগুলিকে করের নোটিস পাঠানো নিয়ে বিজেপিকে আক্রমণ, এবং মন্ত্রোচ্চারণ- গ্রামবাংলায় বিজেপিকে আক্রমণ করতে তাদেরই বয়ানকে বেছে নিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। অন্তত শেষ দু’দফার নির্বাচনের জন্যে এই-ই তাঁর তুরুপের তাস। দিনে তিনটি করে সভা করছেন মমতা। সে সব সভায় তাঁর সরকারের জনমুখী প্রকল্পের কথা যেমন বলছেন, তেমনই নরেন্দ্র মোদীকে আক্রমণ করতে ভুলছেন না নোটবন্দি, কৃষক আত্মহত্যা এবং কর্মহীনতার ইস্যু নিয়ে। কিন্তু একই সঙ্গে এখন তাঁর বয়ানে যুক্ত হয়েছে বাংলায় ধর্মাচরণ প্রসঙ্গও, তিনি বলছেন রামকৃষ্ণ পরমহংসের কথা, বলছেন সহনশীলতার কথা। গ্রাম বাংলার মানুষ এসবের সঙ্গে পরিচিত, জানেন তিনি।