মমতার সামনে ‘জয় শ্রীরাম’ স্লোগান! কমিশনের নজরে ‘বিকৃত’ ভিডিও

আজ বিকেল: নিজের রাজ্যেই ‘জয় শ্রীরাম’ স্লোগান! বিব্রত মুখ্যমন্ত্রী! খড়গপুরে মমতাকে লক্ষ করে ‘জয় শ্রীরাম’ স্লোগান ওঠা চাঞ্চল্যকর ভিডিও ভাইরাল সোশ্যাল দুনিয়ায়৷ তৃণমূলের তরফে ভিডিও ‘বিকৃত’ বলে দাবি করা হলেও এবার গোটা ঘটনার পূর্ণঙ্গ রিপোর্ট চাইল নির্বাচন কমিশন৷ প্রশ্ন উঠছে, তৃণমূলের দাবি করা ‘বিকৃত’ ভিডিও ঘিরে কেন হাঠাৎ রিপোর্ট চেয়ে পাঠান কমিশন৷ তাহলে গোটা ঘটনা কি

মমতার সামনে ‘জয় শ্রীরাম’ স্লোগান! কমিশনের নজরে ‘বিকৃত’ ভিডিও

আজ বিকেল: নিজের রাজ্যেই ‘জয় শ্রীরাম’ স্লোগান! বিব্রত মুখ্যমন্ত্রী! খড়গপুরে মমতাকে লক্ষ করে ‘জয় শ্রীরাম’ স্লোগান ওঠা চাঞ্চল্যকর ভিডিও ভাইরাল সোশ্যাল দুনিয়ায়৷ তৃণমূলের তরফে ভিডিও ‘বিকৃত’ বলে দাবি করা হলেও এবার গোটা ঘটনার পূর্ণঙ্গ রিপোর্ট চাইল নির্বাচন কমিশন৷

প্রশ্ন উঠছে, তৃণমূলের দাবি করা ‘বিকৃত’ ভিডিও ঘিরে কেন হাঠাৎ রিপোর্ট চেয়ে পাঠান কমিশন৷ তাহলে গোটা ঘটনা কি ‘সত্যি’? আর তা যদি না হয়, তাহলে ধর্মীয় স্লোগান তুলে চন্দ্রকোণায় কেন আটক করা হল তিন বিজেপি কর্মীকে৷ গোটা ঘটনার বাস্তবতা কি? আর এই বিতর্ক ঘিরে দানা বেঁধে বঙ্গ রাজনীতির ময়দান৷

নির্বাচন কমিশন সূত্রে খবর, শনিবার ছড়ি পড়া মুখ্যমন্ত্রীর তেড়ে যাওয়া ভিডিও সত্যতা জানতে জেলা প্রশানের কাছে অবিলম্বে রিপোর্ট জমা দিতে নির্দেশ দেওয়া হয়৷ ভিডিও আদৌও সত্যি কি না, সত্যি হলে তখন ঠিক কী হয়েছিল, কেনই বা এমন ঘটনা ঘটল তা জানতে চাওয়া হয়েছে৷

ভাইরাল ভিডিও দেখা যাচ্ছে, মুখ্যমন্ত্রী গাড়ি করে যাওয়ার সময়ই রাস্তার পাশের জটলা থেকে শোনা যায় ‘জয় শ্রীরাম স্লোগান৷’ গাড়ি থামিয়ে নেমে পড়েন মমতা। পিছনের দরজা খুলে তাঁর দেহরক্ষীও নেমে পড়েছেন ততক্ষণে। কিন্তু দিদি নিরাপত্তার ধার ধারেন না কখনওই। গাড়ি থেকে নেমেই এগিয়ে গেলেন! ওদিকে মমতাকে নামতে দেখেই স্লোগান তোলা ছেড়ে দে ছুট! কটমট করে ওদের দিকে তাকিয়ে দিদি বলতে দেখা গেল, -‘কী রে পালাচ্ছিস কেন? সব হরিদাস কোথাকার!’ মমতা এমনই। বরাবরই ডাকাবুকো। মুখ্যমন্ত্রী হলেও তাঁর ভিতরে বিরোধী নেত্রীর সত্ত্বা সদা জাগ্রত।

ভিডিও ভাইরাল হতেই প্রতিক্রিয়া দেয় তৃণমূল৷ টুইট করে লেখা হয়, ‘‘বিজেপি মরিয়া হয়ে গেছে। ওরা একটি ভিডিও বিকৃত করে মিথ্যা প্রচার করছে। কারণ ওরা একমাত্র এই কাজটাই ভালো করতে পারে। বাংলার মানুষ বিজেপিকে প্রত্যাখ্যান করেছে। বিজেপিও এটা ভাল করেই জানে। ২৩শে মে-র পর ওদের লুকোনোর জায়গা থাকবে না।’’

ভিডিও দেখে (ভাইরাল হওয়া ভিডিওর সত্যতা যাচাই করেনি আজ বিকেল), পর্যবেক্ষকরা অনেকেই অন্য কিছু যেন দেখতে পাচ্ছেন! তাঁদের কথায়, এই যে মুখ্যমন্ত্রীর কনভয় দেখে জয় শ্রীরাম ধ্বনি তুলছে, এও তো রাজনৈতিক ইঙ্গিতবাহী। ২০১১ সালে মমতা ক্ষমতায় আসার পর এমন সাহস কেউ দেখিয়েছে! দেখানোর প্রশ্ন গোড়াতে ছিল না। পরিবর্তনের পর ২০১৪ সালের ভোট পর্যন্ত বাংলায় তৃণমূল সরকারের মধুচন্দ্রিমা চলেছে। বিরোধ তেমনই। কিন্তু এখন মুখ্যমন্ত্রীর কনভয় দেখে স্লোগান তুলতেও ভয় পাচ্ছে না। দিদি গাড়ি থেকে নেমে পড়ার পর পুলিশ, নিরাপত্তা রক্ষী দেখে কেউই মুখোমুখি তর্ক করবে না তা স্বাভাবিক। কিন্তু তার আগে যা হয়েছে তা চিন্তার কারণ বটে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *