কলকাতা: ভারতের কেন্দ্রীয় সরকার সম্প্রতি সেনবাহিনীর জন্যে ‘অগ্নিপথ’ প্রকল্পের ঘোষণা করেছে। কিন্তু সেই ঘোষণা হওয়ার পর থেকেই গোটা দেশ জুড়ে ব্যাপক বিক্ষোভ হয়। এই প্রকল্পের বিরোধিতায় রাস্তায় নামে বহু মানুষ। বিরোধীরাও এই সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করে একহাত নেয় কেন্দ্রকে। আসলে এই প্রকল্পে চার বছরের জন্য সেনায় কাজ করার সুযোগ মিলবে। তার আগে ৬ মাস হবে ট্রেনিং। তারপর সেনায় যোগ, কিন্তু অবসরের পর থাকবে না পেনশন কিংবা অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা। এই প্রকল্পের সঙ্গেই জাপানের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী শিনজো আবের খুনির যোগ টানল তৃণমূল কংগ্রেসের মুখপত্র ‘জাগো বাংলা’।
আরও পড়ুন: বিতর্কের মাঝেই অগ্নিপথ প্রকল্পে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি বায়ুসেনার
ঠিক কী লেখা হয়েছে? ‘শিনজোর খুনে অগ্নিপথের ছায়া’ শীর্ষক প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে সেখানে। কিন্তু দুইয়ের মধ্যে কী এক আছে? আসলে জানা গিয়েছে, শিনজো আবের হত্যাকারী ৩ বছর দেশের নৌসেনায় কর্মরত ছিল। কিন্তু তারপর তাঁর চাকরি চলে যায় এবং তাঁর উপার্জন বন্ধ হয়ে গিয়েছিল। পেনশনও পাচ্ছিল না সে। এটাই শিনজো আবেকে খুন করার তাঁর অন্যতম কারণ বলেও মনে করা হচ্ছে। এই ইস্যুকেই ‘অগ্নিপথ’ প্রকল্পের সঙ্গে মিলিয়ে দিয়েছে ‘জাগো বাংলা’। তাদের দাবি, একই রকম প্রকল্প চালু করছে ভারত সরকার, যা এখনের মতোই পরে আরও ভয়ানক রূপ নিয়ে পারে। যদিও টেটসুয়া আরও জানিয়েছে যে সে শিনজো আবের ওপর অসন্তুষ্ট ছিল, কারণ তিনি এমন এক ধর্মগুরুকে সমর্থন করতেন যে তাঁর মায়ের সঙ্গে প্রতারণা করেছিল।
উল্লেখ্য, ভারত সরকার জানিয়েছে, ‘অগ্নিপথ’ প্রকল্পে নিয়োগের পর চার বছরের মধ্যে কোনও অগ্নিবীর শহিদ হলে তাঁর পরিবার ১ কোটি টাকা পাবেন। দশম শ্রেণি বা দ্বাদশ শ্রেণি উত্তীর্ণ হলেই এই প্রকল্পে নাম লেখানো হবে এবং পুরুষ, মহিলা সকলেই পারবেন ‘অগ্নিবীর’ হতে। তবে এই প্রকল্পের জন্য নির্ধারিত বয়স সীমা ১৭ বছর ৬ মাস থেকে ২৩ বছর।