বাংলায় বিপন্ন গণতন্ত্র! বিধানসভায় অধ্যক্ষের সামনেই তোপ রাজ্যপালেন

বাংলায় বিপন্ন গণতন্ত্র! বিধানসভায় অধ্যক্ষের সামনেই তোপ রাজ্যপালেন

eda3be90d22bf3ae90307319405db27c

কলকাতা: বিধানসভায় স্পিকারের উপস্থিতিতে ফের আক্রমণাত্মক রাজ্যপাল৷ ‘বাংলায় বিপন্ন গণতন্ত্র৷ এ রাজ্যের ভোটারদের স্বাধীনতা নেই৷ এর সবচেয়ে বড় প্রমাণ হল ভোট পরবর্তী হিংসা৷’ বিধাসভায় দাঁড়িয়ে ফের রাজ্যের বিরুদ্ধে সরব হলেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়। 

আরও পড়ুন- মঙ্গল-বুধেও কিছু জেলায় বৃষ্ট! ঝঞ্ঝা কাটিয়ে ফের শুরু হবে শীতের ব্যাটিং

এদিন তোপ দেগে তিনি আরও বলেন, “বাংলায় আইনের শাসন নয়, শাসকের আইন চলছে। পশ্চিমবঙ্গের অবস্থা ভয়াবহ।” সেই সঙ্গে এদিন রাজ্যের সরকারি অফিসারদের সংবিধান মেনে কাজ করার পরামর্শও দেন রাজ্যপাল। তাঁর দাবি, “রাজ্যের সরকারি আধিকারিকরা তাঁদের সাংবিধানিক মর্যাদা ভুলে গিয়েছেন। রাজভবন কী করতে পারে তা সরকারি অফিসাররা জানেন না।’’ রাজ্যের বিরোধী দলের প্রতি শাসক দলের আচরণেও ক্ষুন্ন রাজ্যপাল৷ 

মঙ্গলবার বিএসএফ এবং বিল প্রসঙ্গেও মুখ খোলেন রাজ্যপাল। রাজভবনে ফাইল আটকে রাখার কথা অস্বীকার করে তাঁর পাল্টা অভিযোগ, বিএসএফ নিয়ে তথ্য চাওয়ার পরেও তা দেয়নি রাজ্য৷ তিনি বলেন, ‘‘ রাজভবনে কোনও ফাইল আটকে রাখা হয়নি। রাজ্যপালের নামে মিথ্যা অভিযোগ আনা হচ্ছে। বিলে সই করা হয়নি বলেও মিথ্যা প্রচার করা হচ্ছে।”

উপাচার্য নিয়োগ নিয়েও এদিন রাজ্য সরকারকে তুলোধোনা করেছেন ধনকড়। তাঁর প্রশ্ন, ‘কী ভাবে রাজ্যাপালের অনুমতি ছাড়া ২৫ জন উপাচার্যকে নিয়োগ করল রাজ্য? এমন নিয়োগ দেশের আর কোনও রাজ্যে হয় না৷’ তিনি আরও বলেন, ‘উপাচার্যদের ডেকে পাঠানোর পরেও তাঁরা আসেননি৷’ রাজ্যপালের কথায়, “শিক্ষার উন্নয়নের জন্যেই বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি-দের ডাকা হয়েছিল। কিন্তু তাঁরা না এসে ইউনিয়ন করছেন?”

মঙ্গলবার সাংবাদিক বৈঠকে এসে, মা ক্যান্টিন নিয়েও প্রশ্ন তোলেন রাজ্যপাল৷ তিনি বলেন, কত টাকা মা ক্যান্টিনে খরচ হয়েছে? তাঁর বক্তব্য, “রাজ্যপাল হিসেবে জানতে চেয়েছিলাম মা ক্যান্টিনের জন্য কত টাকা খরচ হয়েছে? সেই উত্তরটুকুও পাইনি। এ রাজ্যে কি প্রশ্ন করার অধিকার নেই?”  তাঁর অভিযোগ,  তিনি যে প্রশ্নই করুক না কেন, রাজ্য তার কোনও উত্তরই দেয় না।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *